প্রতিবেদন: অভাবনীয় পরিস্থিতি। আদৌ কি গণতন্ত্র আছে বাংলাদেশে? সম্প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি যে মন্তব্য করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সরকারের অস্তিত্ব ও বৈধতা নিয়েই নতুন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী পদে শেখ হাসিনা আদৌ পদত্যাগ করেছেন কি না তা নাকি জানেন না দেশের রাষ্ট্রপতি! বিষয়টি নিয়ে এখনও রীতিমতো অন্ধকারে সেদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিন। উল্টে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এমন কোনও প্রামাণ্য নথি তাঁর কাছে নেই। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যে রাজনৈতিকভাবে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সাড়ে ৩ মাস পরেও আইনগতভাবে বলা যাচ্ছে না, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হয়েছে। এমনকী সেনাপ্রধান ওয়াকারকেও রাষ্ট্রপতি এব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনিও নাকি সুনির্দিষ্টভাবে কিছুই জানাতে পারেননি। এই প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান জানিয়েছিলেন, শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশের এক সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন-মোটর স্পোর্টসেও দেখা গেল মনুকে
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির কাছেই ইস্তফাপত্র জমা দিতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি শাহবুদ্দিন জানিয়েছেন, হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে কোনও পদত্যাগপত্রই জমা দেননি তাঁর কাছে। আসব বলেও আসেননি। হয়তো সে সময় তাঁর হাতে ছিল না। ৫ অগাস্ট দেশ ছাড়ার আগে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে হাসিনা দেখা করবেন বলেও তাঁর দফতর থেকে খবর পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরে রাষ্ট্রপতি ভবনে আবার ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয়, যেতে পারছেন না হাসিনা। সেই কারণেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরে মন্ত্রিপরিষদের এক সচিব যখন রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিলেন হাসিনার ইস্তফাপত্রের কপি চাইতে, তখন তা দিতে পারেননি রাষ্ট্রপতি। লক্ষণীয়, হাসিনা-পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছেন, আমার মা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেননি। এবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানের মন্তব্য নতুন করে বিতর্ককে উসকে দিল।