প্রতিবেদন: যোগীরাজ্যে কি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যৌনবিকারগ্রস্তের দল? প্রশাসনের অপদার্থতার সুযোগে তারা রেহাই দিচ্ছে না মহিলা পুলিশকর্মীদেরও। তারই প্রমাণ মিলল হাতেনাতে। অন্ধকার রাস্তার সুযোগ নিয়ে এবার দুষ্কৃতীর যৌনলালসার শিকার মহিলা পুলিশ। ধর্ষিতা যোগীরাজ্যের এক মহিলা হেড কনস্টেবল। করবাচৌথ ব্রত পালন করতে নিজের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে নির্যাতনের শিকার ওই মহিলা। পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন-যৌননির্যাতনের শিকার ১০ বছরের শিশু
অযোধ্যায় হেড কনস্টেবল পদে কর্মরত মহিলা নিজের শ্বশুরবাড়ি কানপুরের শেন পশ্চিমপাড়ায় যাচ্ছিলেন। দূরত্ব বেশি হওয়ায় তাঁর পৌঁছাতে রাত হয়ে যায়। বিয়ের শাড়ি পরা মহিলা বাস থেকে নেমে গ্রামের পথে যাওয়ার জন্য কোনও গাড়ি না পেয়ে এক ব্যক্তিকে বাইকে তাঁকে এগিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। বাইক আরোহী ধর্মেন্দ্র পাসওয়ান কিছুটা দূরে তাঁকে নিয়ে গিয়ে অন্ধকার এলাকা দেখে আচমকা বাইক থামিয়ে দেয়। সেখানেই মহিলার কাপড় ছিঁড়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। পরে তাঁকে সেখানেই ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ধর্মেন্দ্র ওরফে কাল্লু।
ওই পরিস্থিতিতেও নিজেকে সামলে নিয়ে নির্যাতিতা স্থানীয় থানায় পৌঁছে অভিযোগ জানান। সেই সময় তিনি জানতে পারেন অভিযুক্ত কাল্লু পাশের থানায় তার বাইক চুরির অভিযোগ দায়ের করেছে। গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিতে কাল্লু ফন্দি আঁটলেও পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন-ধর্মনিরপেক্ষতা সংবিধানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, সাফ জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত
এই ঘটনার পরে কার্যত বিধ্বস্ত ওই মহিলা হেড কনস্টেবল। পুলিশকর্মী হওয়ায় বেশি রাতে চলাফেরার অভ্যাস তাঁর ছিল। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই বেশি রাতে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু সিভিল ড্রেস বিশেষত বিয়ের শাড়ি পরে থাকায় তাঁকেও ছাড়েনি বিকৃত লালসার শিকার যুবক।