প্রতিবেদন: কর্মসংস্থানের গালভরা প্রতিশ্রুতি যে মোদির ফাঁকা আওয়াজ এবং প্রতারণার ফাঁদ ছাড়া আর কিছুই নয়, তা প্রমাণিত হয়ে গেল আরও একবার। পর্দাফাঁস হয়ে গেল আরটিআই বা তথ্য জানার অধিকারেই। খোদ কেন্দ্রীয় সরকারই স্বীকার করে নিল কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রক এবং দফতরে শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ। আরও স্পষ্ট করে বললে, ৯ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৫৯ টি শূন্যপদ পূরণের কোনও উদ্যোগই নেয়নি মোদির সরকার। অথচ দেশজুড়ে হাহাকার চাকরির জন্য। কাজ না পেয়ে দিশাহারা শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা। কর্মীর অভাবে গতি হারাচ্ছে সরকারি দফতরের কাজকর্ম। পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অথচ অমানবিক আচরণ বেড়েই চলেছে কেন্দ্রের। বেকারত্ব নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। চাকরির টোপ দিয়ে যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করছে, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য অপব্যবহার করছে যুবশক্তির।
আরও পড়ুন-ডানার মোকাবিলায় একাধিক সতর্কতা জারি বিদ্যুৎ দফতরের, চালু হেল্পলাইন
সবচেয়ে অবাক করা বিষয়, ২০১৪ থেকে প্রধানমন্ত্রী বারবারই দাবি করেছেন এবং আজও করছেন, বছরে ২ কোটি করে চাকরির ব্যবস্থা হবে। কিন্তু কোথায় কী? ১০ বছর পরে এই প্রতিশ্রুতি পরিণত হয়েছে সম্পূর্ণ প্রহসনে। তথ্যের দাবি, কেন্দ্রে সবমিলিয়ে অনুমোদিত পদের সংখ্যা, ৩৯ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫০৯। কিন্তু কর্মরতের সংখ্যা ৩০ লক্ষ ১৩ হাজার ১৫০। অর্থাৎ শূন্যপদের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৫৯। কেউ জানে না কবে পূরণ হবে এই শূন্যস্থান। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরে ৩ লক্ষ পদ খালি পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে শূন্যপদ প্রায় ১ লক্ষ, ডাক বিভাগেও পড়ে রয়েছে ১লক্ষ শূন্যপদ। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, যে প্রতিরক্ষা দফতরকে আরও শক্তিশালী করে তোলার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রের বিজেপি মন্ত্রীরা গলা ফাটান, সেই প্রতিরক্ষা দফতরেই শূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে ২ লক্ষেরও বেশি পদ। ২০২২এর ১ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য এই কথাই বলছে। বিভিন্ন দফতরে অজস্র পদ পূরণ না হওয়ায় কর্মীদের উপরে যেমন কাজের চাপ বেড়েই চলছে, তেমনি বাড়ছে ক্ষোভও। বিঘ্নিত হচ্ছে পরিষেবা,স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে উন্নয়ন। কিন্তু নির্বিকার কেন্দ্র। কেবলই মিথ্যার বেসাতি করে চলেছে বিজেপি।