প্রতিবেদন: ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহল নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের সংঘাতে ইতি টানল সুপ্রিম কোর্ট। ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহলের উপর কর চাপাতে পারে রাজ্য সরকার, রায় দিল শীর্ষ আদালতের ৯ বিচারপতির বেঞ্চ। সংবিধান অনুযায়ী, নেশাজাত তরলের মধ্যে কেবল পানযোগ্য বা বহনযোগ্য অ্যালকোহল নয়, জনস্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এমন সব ধরনের অ্যালকোহলকে একই তালিকার অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে। সাধারণত, উপাদানের ভিত্তিতে অ্যালকোহলিক তরলকে চিহ্নিত করা হয়। সেই তরল দ্বারা নেশা হলে সেটি ‘ইনটকসিকেটিং’ হিসেবে চিহ্নিত হবে। তাই অ্যালকোহলিক যে তরল দ্বারা নেশা হয়, সেটি নেশাজনক হিসেবেই বিবেচিত হবে। এই অভিমত শীর্ষ আদালতের নয় বিচারপতির মধ্যে আট জনেরই।
আরও পড়ুন-বোমাতঙ্ক ছড়ানোয় কেন্দ্রের তোপে ‘এক্স’
শিল্পের জন্য তৈরি অ্যালকোহল এবং স্পিরিট কেনাবেচা সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে কি? এই তরলের উপর রাজ্য সরকার কর চাপাতে পারে কি? সেই ক্ষমতা রাজ্যের আছে? এই নিয়ে মামলায় ১৯৯০ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, পানযোগ্য অ্যালকোহলকেই শুধুমাত্র নেশাজনক তরল বলা যাবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহলের উপর সরকার কর আরোপ করতে পারে না। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ৩০টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মূলত সেই পিটিশন দাখিল করেছিল বিভিন্ন রাজ্য। তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক রাজ্য ছিল। বুধবার সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহল’ নিয়ে রাজ্যের নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা আছে। সেই ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে পারে না সংসদ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় দিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি হৃষিকেশ রায়, বিচারপতি এএস ওকা, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া, বিচারপতি মনোজ মিশ্র, বিচারপতি এসসি শর্মা এবং বিচারপতি মাসিহা। অন্যদিকে নিজের পৃথক রায়ে নব্বইয়ে দশকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পক্ষেই থেকেছেন বিচারপতি নাগরত্না।