প্রতিবেদন : ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) দুর্দশা কবে কাটবে? আদৌ কি অন্ধকার কেটে আলোয় ফিরবে গৌরবের লাল-হলুদ? যন্ত্রণাবিদ্ধ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মুখে এই প্রশ্নগুলোই যেন আর্তনাদে পরিণত হয়েছে। কোনও লিগ বা টুর্নামেন্টে টানা ছ’টা ম্যাচ হেরে শুরু করছে দল, এই লজ্জার নজির ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ইতিহাসে নেই। এএফসি ম্যাচ ও ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে হার ধরলে মরশুমে টানা ৮ ম্যাচ হার। এরপরেও ভেঙে পড়া সমর্থকদের উদ্দেশে কোচ অস্কার ব্রুজোর আর্জি, দলের উপর বিশ্বাস রাখুন। ঘুরে দাঁড়াবে ইস্টবেঙ্গল। প্লে-অফের আশা এখনও শেষ হয়ে যায়নি।
শহরে এসে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডার্বি-সহ দুটো ম্যাচে ডাগ আউটে বসতে হয়েছে লাল-হলুদের (East Bengal) নতুন হেড কোচকে। দুটো ম্যাচেই হারতে হলেও মঙ্গলবার ওড়িশায় গিয়ে সাহসী ফুটবল খেলেছে অস্কারের ইস্টবেঙ্গল। চেষ্টা করছেন নতুন স্প্যানিশ কোচ। ওড়িশার বিরুদ্ধে প্রচুর সুযোগ তৈরি করেও গোল নষ্টের খেসারত দিতে হয়েছে। ডুবিয়েছে ভঙ্গুর রক্ষণও। তবে আশা ছাড়ছেন না অস্কার।
আরও পড়ুন- ১৩ গোল ছেলেদের, হার মেয়েদের
বুধবার ভুবনেশ্বর থেকে শহরে ফিরেছেন সাউল ক্রেসপোরা। বৃহস্পতিবার নতুন মিশনে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ খেলতে ভুটান যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ থিম্পুতে। শনিবার প্রথম ম্যাচ। বিরতি কাটিয়ে ৯ নভেম্বর মহামেডান ম্যাচ দিয়ে আইএসএলে ফিরবে ইস্টবেঙ্গল। তবে টানা ছয় হারের পরেও অস্কার এখনও আশায়। সমর্থকদের উদ্দেশে বলছেন, ‘‘আমাদের দলের উপর বিশ্বাস রাখুন। আমরা ঠিক ফিরে আসব। আমি পরের মরশুম বা দ্বিতীয় ট্রান্সফার উইন্ডোর কথা বলছি না। আমরা খুব দ্রুত ফিরব। আপনারা দলের সঙ্গে থাকুন। আপনারাই সব। পরিস্থিতি বদলানোর জন্য আরও বেশি কিছুই করব।’’ যোগ করেন, ‘‘প্লে-অফে যোগ্যতা অর্জনের একমাত্র উপায় সেরা ছয়ে থাকা। আর সেরা ছয়ে শেষ করতে হলে আমাদের ১৮টির মধ্যে অন্তত ১০টি ম্যাচ জিততে হবে। হিসেব তাই বলছে।’’
শুধু ফিটনেস নয়, মানসিকভাবেও পিছিয়ে থাকছে ইস্টবেঙ্গল। ট্রেভর মর্গ্যানের সঙ্গে কাজ করা শহরের নামী বাঙালি মনোবিদ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘দলকে একসূত্রে গাঁথতে হবে। সবাইকে আলাদা করেও বোঝাতে হবে, তোমরাই সেরা। আমি মর্গ্যানের সময় প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিলাম। পাঁচ বা ছয় ম্যাচ হারলাম বলে অতীত নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না। এই খারাপ ফর্মটা সাময়িক। প্রত্যাবর্তনটা স্রেফ একটা জয় দূরে, এটাই বোঝাতে হবে খেলোয়াড়দের। কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, ম্যানেজমেন্টকে অভিভাবকের দায়িত্ব নিতে হবে।’’