প্রতিবেদন: নিজেদের জমানার গাফিলতি ঢাকতে আবারও নির্লজ্জ মিথ্যাচার করল মোদি সরকার৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের তিন দফার কার্যকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল দুর্ঘটনার সংখ্যা ও যাত্রীদের মৃত্যুর ঘটনা প্রবলভাবে বৃদ্ধি পেলেও মোদি সরকারের ভুয়ো দাবি, এই সরকারের আমলে কমেছে রেল দুর্ঘটনার আশঙ্কা৷ নয়াদিল্লিতে রেল মন্ত্রকের অধীনস্থ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান দাবি করেছেন, প্রতি দশ লক্ষ কিলোমিটার রেল যাত্রায় কমেছে ট্রেন দুর্ঘটনার সংখ্যা৷ যদিও চেয়ারম্যানের এই দাবির সঙ্গে মিলছে না বাস্তব চিত্র।
আরও পড়ুন-নিজের দলে চাপে ট্রুডো
রেল দুর্ঘটনা কমার দাবি করে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের যুক্তি, ২০০১ সালে প্রতি দশ লক্ষ কিলোমিটার রেল যাত্রায় দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ০.৬৫৷ এটা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ০.০৩৷ সময়োচিত পদক্ষেপের কারণেই রেলমন্ত্রক ট্রেন দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে পেরেছে বলে দাবি রেল বোর্ড চেয়ারম্যানের৷ নয়াদিল্লিতে সংসদীয় সূত্রের দাবি, রেলবোর্ডের চেয়ারম্যানের এই দাবির পরেই সংসদীয় কমিটির সদস্য বিভিন্ন বিরোধী দলের সাংসদরা প্রশ্ন তোলেন গত দু’বছরের একের পর এক ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে৷ বালাসোরের রেল দুর্ঘটনায় প্রায় ৩০০ যাত্রী নিহত হয়েছিলেন। তার আগে-পরে রেল দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনার বিরাম নেই। এই দুর্ঘটনাগুলির পরে রেল মন্ত্রক যাত্রী সুরক্ষার নিরিখে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, এই প্রশ্নও করা হয় বৈঠকে৷ এর উত্তরে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা দাবি করেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে তাঁরা সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে লিখিতভাবে জমা দেবেন যাত্রীসুরক্ষায় গৃহীত পদক্ষেপের বিবরণ৷
আরও পড়ুন-কালীপুজো আসছে, কাগজের জবার মালা গড়তে ব্যস্ত কালনার মহিলারা
প্রসঙ্গত, এর আগেও সংসদে লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মোদি সরকারের তরফে দাবি জানানো হয়েছিল, বিগত ইউপিএ সরকারের তুলনায় মোদি সরকারের কার্যকালে কমেছে রেল দুর্ঘটনার সংখ্যা৷ সরকারের এই দাবিকে প্রবল কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর ব্যাখ্যা ছিল, এ যেন দুটি ফেল করা ছাত্রর তুলনা৷ কে বেশি খারাপ করেছে, সেটা নিয়েই প্রতিযোগিতা চলছে৷ এটা চরম লজ্জাজনক।