অপরাধমূলক কাজের নিরিখে শীর্ষে যোগীরাজ্য (Yogi Adityanath) এই নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকছে না। মহিলাদের প্রতি অপরাধ, গাফিলতির নজির বার বার সংবাদমাধ্যমের শীর্ষে উঠে এসেছে। ফের একবার যোগী রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে অবহেলার অভিযোগ উঠল। চিকিৎসকদের গাফিলতিতে এবার পাঁচ বছর বয়সের একটি মেয়ের প্রাণ গেল। কিন্তু তারপরেও হেলদোল নেই চিকিৎসকদের।
আরও পড়ুন-রাধার ঘূর্ণিতে মাত বিশ্বকাপজয়ীরা
সূত্রের খবর, মেয়েটির জ্বর হয় বলে পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে নিয়ে আসে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে। দীর্ঘক্ষণ সেখানে চিকিৎসা না পেয়ে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ জানায় পরিবার। মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর দেখা যায় চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীরা ক্রিকেট খেলছিলেন। একবারের জন্যও শিশুটির দিকে ঘুরে তাকায়নি কেউ। এর ফলেই মৃত্যু হয় শিশুটির, জানায় তাঁর পরিবার। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর থেকেই উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সোফিয়া নামের ওই শিশুকন্যাটিকে নিয়ে তার বাবা নাজিম এই সরকারি হাসপাতালে আসেন। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অরুণ কুমার জানান হাসপাতালে নাকি সেই সময় কোনও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন না। পরিবারকে কয়েকটি ঘরে যাওয়ার কথা বললেও সেখানেও কোনও ডাক্তার ছিলেন না। শিশুটির বাবা জানান, একের পর এক ঘরে ঘুরে বেরিয়েছেন তারা কিন্তু কোথাও কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই মেডিকেল কলেজ থেকে বেরিয়ে এসে তারা দেখেন ডাক্তাররা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মীরা ক্রিকেট ম্যাচ খেলছেন। মেয়ের চিকিৎসার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি। জানিয়ে দেওয়া হয়, খেলা শেষ হলে রোগী দেখা হবে। কিন্তু তার মধ্যেই ছোট্ট প্রাণটি শেষ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন-এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ মঞ্চ বদলে ভুটানে পরীক্ষা ইস্টবেঙ্গলের
হাসপাতালের তরফে তদন্তের আশ্বাস দিলেও বলা হয়েছে ছুটিতে থাকা ডাক্তাররা ক্রিকেট খেলছিলেন। যদি তাই হয়, তাহলেও তারা ডাক্তার হয়েও চোখের সামনে কিভাবে রোগীর চিকিৎসা না করে ক্রিকেট খেলছিলেন সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। নিজেদের পেশার প্রতি এতটা উদাসীনতা ও এরকম নির্মম অন্যায়ের জাস্টিস কে দেবে প্রশ্ন তুলেছেন মৃত শিশুটির বাবা।