প্রতিবেদন: দেশের আর্থিক উন্নয়ন নয়, প্রকৃত নির্বাচনী সংস্কারও নয়, বরং পাকিস্তান আর জামাত শিবিরের মন পাওয়াই এখন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের একমাত্র ধ্যানজ্ঞান হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে শেখ হাসিনার প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত জ্বালা মেটাতেও উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি। শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শুধুমাত্র একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়েও ক্ষান্ত হচ্ছে না তাঁর সরকার, রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ করতেও জামাত এবং পাকিস্তানের হাতের পুতুলের ভূমিকা পালন করছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস (Muhammad Yunus)। মৌলবাদী ও কোটাবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের চাপে পড়ে আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লিগকে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। মৌলবাদীদের খুশি করতেই এবার তাঁর টার্গেট হতে পারে সেনাপ্রধানের অপসারণ। সেই সম্ভাবনাও প্রবল হয়ে উঠছে ক্রমশই। যদিও ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি বদল নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। কারণ সেক্ষেত্রে নির্বাচনের সম্ভাবনা আরও অন্তরালে চলে যাবে বলে মনে করে তারা।
আরও পড়ুন-মাদারিহাট-মেদিনীপুরে মনোনয়ন জমা জয়প্রকাশ-সুজয়ের
এদিকে সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয়, মুখে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদার কথা বললেও বাস্তবে তার আদৌ ধার ধারছেন না ইউনুস (Muhammad Yunus)। তাঁর তৈরি ৬টি কমিশনে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে সংখ্যালঘুদের। বাংলাদেশের সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচারবিভাগ, পুলিশ প্রশাসন, দুর্নীতি দমন পদ্ধতি এবং জন প্রশাসন ব্যবস্থার সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত ৬টি কমিটির কোনওটিতেই জায়গা পাননি সংখ্যালঘুরা। গত ১১ সেপ্টেম্বর ইউনুস ঘোষণা করেছিলেন এই সংস্কার কমিটিগুলি তৈরির কথা। জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানদের নাম। কিন্তু ৫০ জন সদস্যের মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, আদিবাসী বা অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর কাউকে রাখা হয়নি। অথচ বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশই সংখ্যালঘু। ইউনুসের এই বৈষম্যমূলক আচরণে সচেতন নাগরিকরা শুধু বিস্মিতই নন, চরম ক্ষুব্ধও।