প্রতিবেদন: পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা সরানো শুরু করে দিয়েছে ভারত ও চিন। রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলন শুরুর ঠিক আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর উত্তেজনা প্রশমনে দুই দেশের চুক্তি বা বোঝাপড়া অনুযায়ী এই উদ্যোগ। শুক্রবার থেকেই মুখোমুখি অবস্থানে থাকা সেনাদের সরানো শুরু হয়েছে। আপাতত দুটি অঞ্চলে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেগুলি হলো ডেপস্যাং ও ডেমচক। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়াং জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সমাধান সূত্র মেনে দুই দেশের সেনাবাহিনী প্রাসঙ্গিক কাজ বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত সেই কাজ সুষ্ঠুভাবেই চলছে।
আরও পড়ুন-ট্রাম্পের বিরোধিতা করে চিঠি ৮২ নোবেলজয়ীর
দিল্লিতে এক সরকারি সূত্র জানিয়েছেন, ডেপস্যাং ও ডেমচকেই দুই দেশের সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।এই বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। গত সোমবার ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি প্রথম জানান, পূর্ব লাদাখের বিতর্কিত এলাকার উত্তেজনা প্রশমনে ভারত ও চিনের মধ্যে বোঝাপড়া হয়েছে। সেই বোঝাপড়া অনুযায়ী দুই দেশ এলএসিতে টহলদারি ও নজরদারি করবে। ওই বোঝাপড়া মেনেই পরবর্তী সময়ে সেনা অপসারণের কাজ শুরু হবে এবং ২০২০ সালে এপ্রিল মাসে এলএসিতে সেনাদের যে অবস্থান ছিল, সেখানে দুই দেশের সেনাবাহিনী ফিরে যাবে। ওই ঘোষণার পরদিন চিনের পক্ষ থেকেও ওই সমঝোতা সংক্রান্ত বিবৃতি দেওয়া হয়। তারপরই ভারত জানায়, কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। পাঁচ বছর পর সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যদিও সেই বৈঠকের পর কোনও যৌথ বিবৃতি প্রচার করা হয়নি। দুই দেশের বিবৃতিতে যথেষ্ট ফারাকও দেখা যায়। ভারতের বিবৃতিতে যাকে ‘চুক্তি’ বলা হয়েছে, চিনের বিবৃতিতে তা ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’। সেই ‘চুক্তি’ অথবা ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ কোন কোন ক্ষেত্রে, তার চরিত্রই বা কী, দুই দেশের কেউই শুক্রবার পর্যন্ত তা স্পষ্ট করেনি। ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস যদিও সেই চুক্তিতে কী কী রয়েছে, জানতে চেয়েছে। তবে ভারত সরকার এখনও নীরব।