বাম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, সরব দেবাংশু

সোশাল মিডিয়ায় সম্পূর্ণ বিষয়টা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেই নিগৃহীতা সাংবাদিক। তাঁর সেই পোস্টটি শেয়ার করে ধিক্কার জানিয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।

Must read

আর জি কর কাণ্ডে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিশেষত বাম (CPIM)  সংগঠনগুলিকে। এবার সেই বাম নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন এক মহিলা সাংবাদিক (Journalist)। জানা গিয়েছে, সাক্ষাৎকারের অছিলায় এক মহিলা সাংবাদিককে শ্লীলতাহানি করেছেন সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। সোশাল মিডিয়ায় সম্পূর্ণ বিষয়টা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেই নিগৃহীতা সাংবাদিক। তাঁর সেই পোস্টটি শেয়ার করে ধিক্কার জানিয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন-৭ই নভেম্বর থেকে বাংলায় গুটখা ও পান মশলা নিষিদ্ধ, ঘোষণা নবান্নের

দেবাংশু নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে সেই মহিলার সম্পূর্ণ ভিডিও শেয়ার করে লেখেন, ”সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনলেন এক মহিলা সাংবাদিক! ভাবতে লজ্জা লাগে এরাই ধর্ষণের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিল! ছিঃ! ছিঃ” জানা গিয়েছে, এই মহিলা সাংবাদিক “বঙ্গ টিভি” নামে একটা ইউটিউব চ্যানেলের সঞ্চালক। প্রসঙ্গত সঙ্গীতা নামের ওই মহিলা সাংবাদিক নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে বক্তব্য জানিয়ে লেখেন, ”চার বছর সাংবাদিকতা করছি কিন্তু এত খারাপ অভিজ্ঞতা আমার কখনও হয়নি। আসলে পোটেনশিয়াল রেপিস্ট এরাই। এদের চিনে রাখা দরকার।”

আরও পড়ুন-মুম্বইয়ের বান্দ্রা স্টেশনে পদপিষ্ট ৯ রেলযাত্রী

এই ভিডিওর পরিপ্রেক্ষিতে এক নেটিজেন লেখেন, ”নিজেকে সাংবাদিক বলছে, কিন্তু সংবাদের নামে এর কাজ হলো তৃণমূল বিরোধী যেকোন ব্যক্তির, অর্থাৎ সিপিএম বিজেপির যত ছুটকো ছাটকা স্বঘোষিত নেতাদের উস্কানিমূলক ইন্টারভিউ নেওয়া। সেসব ভিডিওর ক্যাপশন থাকে, “মুখ্যমন্ত্রীকে ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু,” “মমতাকে ধুয়ে দিলেন বিকাশরঞ্জন,” “কুণালকে ধুয়ে দিলেন রুদ্রনীল,” ইত্যাদি। ইউটিউবে বঙ্গ টিভি সার্চ করে দেখুন আপনি বুঝে যাবেন এই চ্যানেলের উদ্দেশ্য কি আর কার্যকলাপ কেমন।
যাই হোক, ঠিক সেরকমই একটা তথাকথিত ইন্টারভিউ নিতে গেছিল সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের কাছে। বলাই বাহুল্য আবারও “মমতাকে ধুয়ে দিলেন তন্ময়” টাইপের কোন ভিডিও করতেই গেছিল। তা সেখানে যাওয়ার পর কি হলো সেটা আপনারাই শুনবেন এই ভিডিওতে। তন্ময় নাকি ইয়ার্কির ছলে মেয়েটির কোলে বসে পড়ে, উল্টোপাল্টা ভাবে গায়ে হাত দেয়, মানে যা হয় আর কি।
যেটা বলার সেটা হলো, তৃণমূলকে খিস্তি করে দু পয়সা রোজগার করছেন ঠিক আছে, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে নিজের নিরাপত্তার সঙ্গে আপোষ করবেন না। তৃণমূলকে খিস্তি করাটা আপনার পেশাগত বাধ্যবাধকতা সেটা আমরা জানি, কিন্তু deep down আপনি তো জানেন যাদের কাছে আপনি যাচ্ছেন তাদের একমাত্র রাজনৈতিক যোগ্যতা হলো এই রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে গালি দেওয়া। অতএব একজন মহিলা সঞ্চালককে তারা কি চোখে দেখবেন সেটা তো আপনারই ভালো জানার কথা। আপনি নিজেই ভিডিওতে স্বীকার করছেন যে এর আগেও নাকি তন্ময় ভট্টাচার্য আপনার সঙ্গে এমন অশালীন ব্যবহার করেছেন, তাহলে আপনি সাবধান হন নি কেন? তৃণমূল তথা মমতা ব্যানার্জিকে চারটে খিস্তি দেওয়ার এতটাই বাধ্যবাধকতা যে নিজের নিরাপত্তার পরোয়া না করে একজন পোটেনশিয়াল রেপিস্টের (আপনিই ভিডিওতে তন্ময়কে এটা বলেছেন) কাছে চলে যাচ্ছেন? অদ্ভুত মানসিকতা আপনার।”

Latest article