প্রতিবেদন : বিরোধীরা যখন কুৎসা-অপপ্রচারে ব্যস্ত তখন মানুষের পাশে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। দুর্যোগে হোক বা মানুষের প্রয়োজনে, তৃণমূলই সহায়। এই যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ গেল, প্রকৃতি রুষ্ট হল, তখন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরাই প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন। সেই কথা মনে করিয়ে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা যে দল করি, সেই দল মানুষের পাশে থাকে। এ জন্যই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসেবে গর্ব হয়।
আরও পড়ুন-আত্মঘাতী গোল অমিত শাহের, অনুপ্রবেশ রুখতে ব্যর্থ মেনে নিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ও কোলাঘাটের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের স্যালুট জানান। তাঁর পরামর্শ, মানুষের কাছে আবার যেতে হবে। বিজয়া সম্মিলনীতে তিনি তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন। মানুষকে জানাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়নের কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার উন্নয়নের কথা ভেবেছেন। যাঁরা অন্য দলকে ভোট দিয়েছেন, তাঁরাও উন্নয়নের সুবিধা পেয়েছেন। দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সাধারণ মানুষকে বলবেন। ১০০ দিনের টাকা, আবাসের টাকা সব দিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের থেকে ট্যাক্স তুলে নিয়ে গিয়েও রাজ্যকে প্রাপ্য টাকা দেয়নি কেন্দ্র। লড়াই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষকে বলতে হবে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের কর্তব্য করছে না। তৃতীয়ত, বিজেপি-সিপিএম-অতি বামেদের কুৎসার পাল্টা প্রচার চালাতে হবে। তিনি বলেন, ভুল হলে সংশোধন করে নিয়ে বাংলার মাটিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদেরই। সবে তিনবার মা-মাটি-মানুষের সরকার হয়েছে। চতুর্থবারও হবে। ২০২৬-এ আড়াইশোরও বেশি আসনে জিতে ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল কংগ্রেস। চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে, দিল্লির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই হবে, সিপিএমের কুৎসার বিরুদ্ধে লড়াই হবে, রাম- বাম জোটের বিরুদ্ধে লড়াই হবে।
তিনি বলেন, এলাকায় যে সমস্যা ছিল, তার সমাধান করা গিয়েছে। আরও যা কাজ বাকি আছে, সেগুলো ধীরে ধীরে হবে। মাথার উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরদারি রয়েছে। আজ ১৬৫টি বিজয়া সম্মিলনী হচ্ছে। জেলা-ব্লক মিলিয়ে গোটা রাজ্যে এদিন হচ্ছে ১২০০টিরও বেশি বিজয়া সম্মিলনী।