প্রতিবেদন : তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর সভা থেকে জনজাগরণ তৈরি হয়েছে বাংলা জুড়ে। বিজয়া সম্মিলনী আদতে রূপ নিচ্ছে বিপুল সমাবেশে। বিজয়া সম্মিলনীকে বিজয় সমাবেশে রূপান্তরের সংকল্প নিয়েই জনসংযোগে মেতেছে তৃণমূল। সেই ধারা মেনে পক্ষকাল ধরে যে সম্মিলনী অনুষ্ঠান চলছে তা রবিবাসরে তৈরি করল নয়া রেকর্ড। একদিনে ঘোষিত ১৬৩টি সভা। এছাড়াও ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তর মিলিয়ে এদিনই প্রায় দু’হাজার সভা হচ্ছে রাজ্যে। গোটা বাংলা জুড়ে বিজয়া সম্মিলনীর মোড়কে জনসংযোগের জোয়ার বইয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন-দুর্যোগে পাশে থাকে তৃণমূল কংগ্রেসই, প্রমাণ করে দিয়েছেন কর্মী-সমর্থকরা
দুর্গাপুজোর পর ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান। তার মাধ্যমেই লড়াইয়ের মাঠ বুঝে নিতে চাইছে তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে সমস্ত জেলা নেতৃত্ব ময়দানে নেমে পড়েছে। রাজ্যের প্রতিটি অংশকে সমান গুরুত্ব দিয়ে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান সাড়া ফেলে দিয়েছে এবার। তৃণমূলের উদ্দেশ্য জনসাধারণের মন বুঝে নেওয়া এবং জনসংযোগ তৈরি করা। আগামী নির্বাচনের আগে জনমতের ভিতকে আরও মজবুত করার পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধিও লক্ষ্য তৃণমূলের। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে প্রভূত সাফল্যের পর সেই ধারা বজায় রাখাতে তৃণমূল দেখতে চাইছে জনসমর্থনে কোনও ভাটা পড়ছে কি না। ইতিমধ্যে ১০ দিন গড়িয়ে গিয়েছে বিজয়া সম্মিলনী। সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রতি সভাতেই উপচে পড়া ভিড়। প্রতিটি সম্মিলনী সভাই জনসমাবেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। সেখানে বিরোধী দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িকও পড়ে গিয়েছে। বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের পূর্ণ সমর্থন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের প্রতি রয়েছে। নিবিড় জনসংযোগের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের ভাল কাজগুলি জনগণকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন নেতা-নেত্রীরা। বিরোধীদের কুৎসার রাজনীতির বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দিতে এই বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চকে বেছে নিয়েছে তৃণমূল। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চকে বিজয় সম্মিলনীতে রূপান্তরিত করতে হবে। জনসাধারণের উপস্থিতি প্রমাণ করে বিরোধীদের সমস্ত চক্রান্ত ব্যর্থ। মানুষের আস্থা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অটুট।
আরও পড়ুন-আত্মঘাতী গোল অমিত শাহের, অনুপ্রবেশ রুখতে ব্যর্থ মেনে নিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজ্য জুড়ে কমপক্ষে ৫০০টি সভা করার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিদিনই ৫০টিরও বেশি করে বিজয়া সম্মিলনী সভা হচ্ছে। মাঝে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কিছু সভা পিছিয়ে দেওয়া হয়। সেই পিছিয়ে যাওয়া সভার আয়োজন রবিবার করা হয়েছে। তারই ফলে রবিবার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ১৬৩টি সভা হচ্ছে গোটা রাজ্যে। এছাড়া পঞ্চায়েত স্তরে আরও দু’হাজার সভা করে সর্বকালীন রেকর্ড তৈরি করার পথে তৃণমূল।