মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বাংলার বাড়ি, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ভূমিকা নেই

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিকৃত তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, আয়ুষ্মান ভারত সকলের কাজে লাগে না৷ সব চিকিৎসা স্বাস্থ্যসাথীতেই • বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নাম নথিভুক্ত করুন কৃষকরা • আবাসের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র৷ রাজ্য সরকার বাড়ি তৈরি করে দেবে • বাড়ি তৈরির তালিকা হবে নির্ভুল —আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়

Must read

প্রতিবেদন : উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রধানমন্ত্রী বিকৃত ও ভুল তথ্য দিচ্ছেন৷ বাংলায় আবাসের বাড়ির জন্য কোনও টাকা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার৷ বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের কাছে তদ্বির করলেও কোনও কাজ হয়নি৷ এমনকী এ বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের চ্যালেঞ্জ জানালেও তা গ্রহণ করতে পারেনি কেন্দ্র৷ ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে গরিব মানুষদের মাথার উপর ছাদ তৈরি করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই৷

আরও পড়ুন- নিখুঁত তালিকা তৈরিতে সক্রিয় রাজ্য সরকার

গত ১১ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মা-মাটি-মানুষের সরকার এ-রাজ্যে গরিব মানুষদের ৫০ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে৷ আরও ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কেন্দ্রীয় সরকারের টানা আর্থিক বঞ্চনা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার গরিব মানুষের মাথার উপর ছাদ তৈরি করে দিতে বদ্ধপরিকর৷ এখানে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা ছাড়া আর কোনও ভূমিকা নেই৷ সবটাই রাজ্য সরকার করছে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে৷ কিন্তু বাংলায় এসে দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাসের বাড়ি-সহ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়ে বিকৃত তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন৷ কারণ, দুটি স্পষ্ট কথা বলে রাখতে হবে— (১) আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অর্ধেক টাকা রাজ্য সরকার দেয়৷ কিন্তু এর পুরো কৃতিত্ব নিতে চান প্রধানমন্ত্রী৷ শুধু তাই নয় আয়ুষ্মান ভারতে নানাবিধ উদ্ভট নির্দেশিকার ফলে সকলে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন না৷ তাই বাংলায় এই প্রকল্পটি গ্রহণযোগ্যতা পায়নি৷ (২) সবদিক খতিয়ে দেখেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের জন্য চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থা করেছেন৷ যেখানে সব শ্রেণির সব বয়সের মানুষই বিনা খরচে চিকিৎসা করাতে পারেন৷ এর সব দায়ভার রাজ্য সরকারের৷ তবে কোন দুঃখে মানুষ কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হবেন! তাঁদের ভরসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই৷রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বাংলাকে বঞ্চনা করছে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার৷ একাধিকবার বাংলার পাওনাগণ্ডা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার দরবার করেছেন৷ ধরনা, আন্দোলন করেছেন৷ তাতেও কোনও কাজ হয়নি৷ ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পায়নি বাংলা৷ ১০০ দিনের কাজের টাকা শ্রমিকদের মিটিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ আবাসের টাকাও দেবে রাজ্য সরকারই৷ তবে কোন মুখে নির্লজ্জভাবে বাংলায় এসে মিথ্যাচার করেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল বিজেপি৷গত ৪ বছরে বাংলা থেকে ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা করবাবদ তুলে নিয়ে গিয়েছে কেন্দ্র৷ অথচ বাংলাকে তার প্রাপ্য মেটানো হয়নি৷ কিন্তু এই প্রবল আর্থিক বঞ্চনা সত্ত্বেও মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের জন্য জনমুখী প্রকল্পগুলির একটিও বন্ধ করেননি৷ এমনকী বন্যা ও ঘূর্ণিঘড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ শস্যবিমা পাওয়ার থেকে একজন কৃষকও যাতে বঞ্চিত না হন তা সুনিশ্চিত করেছেন৷ মনে রাখতে হবে, এই বিমার জন্য কৃষকের একটি টাকাও খরচ করতে হয় না৷ সবটাই দেয় রাজ্য সরকার৷ এরপরে কোন মুখে কথা বলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব?

Latest article