সংবাদদাতা, বারাসত : রাত পোহালেই আলোর উৎসবে মাতবে বাঙালি। আর প্রতিবছরের মতো এবারও কালীপুজোয় থিমের (Theme) দৌড়ে বাজিমাত করবে বারাসত ও মধ্যমগ্রামের পুজো। নজর কাড়বে বারাসতের প্রাচীন পুজোগুলো। তার মধ্যে অন্যতম রেজিমেন্ট ক্লাবের পুজো। ৬৮ বছরের এই পুজোয় এবারের আকর্ষণ কাল্পনিক প্যালেস। সাবেকি প্রতিমার সঙ্গে মণ্ডপের কারুকার্য ও তার সঙ্গে সৃজনশীল আলোর মেলবন্ধন এক অভূতপূর্ব রূপ সৃষ্টি করেছে। বারাসতের ঐতিহ্যবাহী শ্যামাপুজোগুলির মধ্যে আরেকটি হল সন্ধানী ক্লাবের পুজো। ৬৫তম বছরে তাঁদের নিবেদন রাশিয়ান মনুমেন্টের আদলে মণ্ডপ। ৮০ ফুট উচ্চতার এই মণ্ডপ দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে বাধ্য। বারাসত-বারাকপুর রোডের ধারে ছাত্রদলের ৫৫ বছরের পুজোয় থিম দক্ষিণ ভারতের নারায়ণ মন্দির। মণ্ডপ জুড়ে থাকছে দক্ষিণ ভারতের সংস্কৃতি। তিরুপতির আদলে তৈরি হয়েছে প্রতিমা। অন্যদিকে, বারাসতের পুরনো কাঠগোলার শক্তি মন্দিরের পুজো এবার ৬৬ বছরে পা দিল।
আরও পড়ুন-কালীপূজার থিম ‘মায়ের ওই রাঙা চরণ’ মণ্ডপ জুড়ে অসমের ‘মূলি’ বাঁশের কারুকাজ
‘বিশ্বশান্তির বার্তা’ দিতে তুলো আর স্পঞ্জ দিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। থাকছে একটি বিশাল পায়রাও। বারাসত-টাকির ৫৮ বছরের বিদ্রোহী স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোয় ভাবনা দুবাইয়ের ডাউনটাউন। মণ্ডপের উচ্চতা ১২০ ফুট। মূলত শিশুদের কথা ভেবে টাকি রোডের পাশে শতদল সংঘের পুজোর থিম করা হয়েছে ‘জুমানজি দ্য অ্যাডভেঞ্চার’। এবং বারাসত ন’পাড়া কল্যাণ সমিতির থিম ‘দ্য জঙ্গল বুক’। দুটি মণ্ডপই বিভিন্ন জীবজন্তুর মডেল দিয়ে সাজানো হয়েছে। বারাসতের সঙ্গে নজর কাড়তে তৈরি মধ্যমগ্রামের পুজোও। মাইকেলনগর নেতাজি সংঘে ৫৭তম বছরে ঝাড়খণ্ডের মাইথন ম্যারেজ প্যালেসের আদলে তৈরি হচ্ছে প্যান্ডেল। মন্ত্রী রথীন ঘোষের পাড়ার এই পুজোয় মণ্ডপসজ্জা ও আলোকসজ্জা মিলেমিশে এক অপূর্ব রূপ পেয়েছে। আবার ৫৩তম বর্ষে মেঘদূত শক্তি সংঘের ভাবনা ‘চক্রব্যূহ’। সমাজে নারী নির্যাতনের চক্রব্যূহ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপসজ্জায়। এদিকে শৈশবে স্মৃতিতে হারিয়ে যেতে হবে মধ্যমগ্রামের পূর্বাশা যুব পরিষদের পুজোয়।