প্রতিবেদন : আজ কালীপুজো। আর আগামী সপ্তাহেই ছটপুজো। প্রতিবছরের মতো এবারও ছটপুজো উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের জন্য সবরকম ব্যবস্থাপনা করছে কলকাতা পুরসভা। সেই নিয়ে বুধবার পুরভবনে বিভিন্ন দফতর ও বিভাগের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রেল, বন্দর, পূর্ত, বিদ্যুৎ, দমকল, পুলিশ-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা।
দইঘাট, তক্তাঘাট-সহ কলকাতার একাধিক গঙ্গার ঘাট, ঝিল ও অন্যান্য জলাশয়ের ঘাটে হাজার হাজার পুণ্যার্থীর ভিড় সামলে প্রশাসন কীভাবে কাজ করবে, সেই নিয়েই আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। পুণ্যার্থীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে পুজো-আচ্চা করতে পারেন, তার জন্য নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, কেএমডিএ-র ৪০টি ঘাট রয়েছে। এছাড়াও কলকাতা পুরসভা অস্থায়ীভাবে ১৮টি ঘাট তৈরি করবে। একইসঙ্গে স্থায়ীভাবে ২২টি ঘাটও রয়েছে। অর্থাৎ কলকাতা পুরসভা এবং কেএমডিএ-র মোট ৮০টি ঘাট তৈরি থাকবে ছটপুজোর জন্য।
আরও পড়ুন-বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা ধরলেন ১৮১ জন
অন্যদিকে, এনজিটির নির্দেশমতো রবীন্দ্র সরোবর লেক বন্ধ রাখা হচ্ছে। সেখানে ছটপুজোর কোনও কাজ হবে না। পরিবর্তে পুরসভার তরফে ৬টি কৃত্রিম জলাধার করা হচ্ছে। মহানাগরিক বলেন, দইঘাটেও অন্যান্য বছরের মতো সব ব্যবস্থা করবে পুরসভা। তবে তক্তাঘাটের পুরসভার কাজের জন্য নেভির অনুমতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গঙ্গাভাঙনের জেরে নিমতলা ঘাটের বিপজ্জনক অংশ চিহ্নিত করে ঘিরে রাখার কথা বলা হয়েছে। মেয়র আরও জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেই প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ায় গঙ্গার জল অনেকটা উপরে উঠেছিল। তাই গঙ্গাপাড়ের বিভিন্ন ঘাটে এবং বিভিন্ন পুকুরঘাটেও শ্যাওলা জমে নোংরা হয়ে রয়েছে। দ্রুত সমস্ত ঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রতিটি ঘাট চত্বরেই মহিলাদের জন্য থাকছে পোশাক বদলানোর ঘর, অস্থায়ী বাথরুম। পর্যাপ্ত জোরালো আলো দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হবে। একইসঙ্গে যেসমস্ত ঘাট চত্বরে রেল চলাচল করে, সেখানে ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ৮ নভেম্বর শুক্রবার সকালে যতক্ষণ না পর্যন্ত পুজোর কাজ শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ রেল চলাচল বন্ধ থাকবে।