প্রতিবেদন : তিন বছর আগে নিলামে ১২.২৫ কোটিতে দিল্লি থেকে শ্রেয়স আইয়ারকে (Shreyas Iyer) কিনেছিল কেকেআর। দীনেশ কার্তিক, ইয়ন মর্গ্যানরা যা পারেননি, সেটাই করে দেখিয়েছিলেন মুম্বইয়ের তরুণ। গত বছর শ্রেয়সের হাতে উঠেছিল আইপিএল ট্রফি। কিন্তু ট্রফি জেতা অধিনায়কের সঙ্গে পরের বছরেই ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল কেকেআরের। শ্রেয়সকে রিটেনশন লিস্টে রাখেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে শোনা যাচ্ছে শ্রেয়স নিজেই নতুন দলে যেতে নিলামে নাম তুলতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন- নেজমেহকে থামানোর পরীক্ষা ইস্টবেঙ্গলের
নাইটদের রিটেনশন লিস্টে ছ’জনের নাম রয়েছে। রিঙ্কু সিং পাচ্ছেন ১৩ কোটি। সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তীকে দেওয়া হবে ১২ কোটি। আন্দ্রে রাসেলকেও রিটেনশন লিস্টে রাখা হয়েছে ১২ কোটিতে। এছাড়া দু’জন ক্রিকেটারকে আনক্যাপড প্লেয়ার হিসাবে ৪ কোটিতে ধরে রাখছে কেকেআর। এই দু’জন হলেন হর্ষিত রানা ও রমনদীপ সিং। যাদের কেউ এখনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি। এর অর্থ, গতবার কেকেআরের যে দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, অধিনায়ককে বাদ দিলে বাকিদের অনেককেই ধরে রেখেছে শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি।
রিটেনশন লিস্ট বেরোনোর আগে কেকেআরের দু’জনকে নিয়ে গুঞ্জন ছিল। তাঁরা হলেন শ্রেয়স ও রাসেল। শ্রেয়সের সঙ্গে দিন দুয়েক আগেই কথা হয়েছিল নাইট কর্তাদের। তখন মনে হচ্ছিল তাঁর নাম রিটেনশন লিস্টে দেখা যাবে। বৃহস্পতিবারই ছিল রিটেনশন লিস্ট জমা দেওয়ার শেষ দিন। যখন এই লিস্ট বেরোল, দেখা গেল তাতে শ্রেয়সের নাম নেই। খবর হল তিনি নিজেই নিলামে উঠতে চেয়েছিলেন। ঠিক যেভাবে ঋষভ পন্থ, কেএল রাহুলরা নিজেদের নিলামের দাঁড়িপাল্লায় তুলতে চেয়েছেন। তবে শ্রেয়সকে নিয়ে শেষবেলায় কোনও চমক অপেক্ষা করছে কি না সেটাও দেখতে হবে। রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যাবহার করে নাইটরা গতবারের অধিনায়ককে রেখে দিতে চাইবে কি না চর্চার বিষয়। তা না হলে নাইটদের নতুন অধিনায়ক খুঁজে নিতে হবে।
কেকেআর সিইও ভেঙ্কি মাইসোর বলেছেন, নারিন ১২ বছর তাঁদের সঙ্গে আছেন। রাসেলও ১০ বছর। তাছাড়া বরুণও তাঁদের সঙ্গে অনেকগুলো বছর কাটিয়ে ফেলেছেন। তবে এরপরও কয়েকজনকে তাঁদের ছেড়ে দিতে হয়েছে। উপায় নেই যেহেতু ছ’জনের রিটেনশন বড় চ্যালেঞ্জ।