প্রতিবেদন : সত্যিই লজ্জা-ঘেন্নার মাথা খেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দীপাবলির উৎসবেও তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়লেন রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে। সওয়াল করলেন এক দেশ এক ভোট (One Nation One Election) নীতির পক্ষে সওয়াল করতে। সাফাই গাইলেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষেই। মোদির এই ভূমিকায় নিন্দার ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে। বিরোধীদের কটাক্ষ, মোদির এই আচরণই বুঝিয়ে দিচ্ছে রাজনৈতিক দিক দিয়ে ঠিক কতটা দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন তিনি এবং তাঁর দল বিজেপি।
বছরভর রাজনীতির ময়দানে কসরত করার পরে উত্সড়বের দিনগুলোয় দেশের আমজনতার সঙ্গে খুশির উত্সজবে মেতে ওঠেন রাজনীতির কারবারিরা৷ সেদিন তাদের মুখে রাজনীতির কথা, প্রসঙ্গ কার্যত শোনা যায় না বললেই চলে৷ দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে এই রেওয়াজ৷ এবার এই রেওয়াজ ভেঙে দীপাবলির দিন রাজনৈতিক প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে৷ বৃহস্পতিবার সকালে একতা দিবসের অনুষ্ঠানে গুজরাটে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবি, এক দেশ এক ভোট এবং এক দেশ-এক দেওয়ানি বিধির দিকে এগোচ্ছে তাঁর সরকার৷ এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এই পদক্ষেপের ফলে উন্নত ভারতের স্বপ্ন আরও গতি পাবে৷ দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে সরকারের এই পদক্ষেপ৷
উল্লেখ্য, এক দেশ-এক ভোট ও এক দেশ-এক অভিন্ন বিধি প্রয়োগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি যেভাবে দিওয়ালির দিনও নতুন করে সওয়াল করেছেন, তা একেবারেই অনুচিত, দাবি জানানো হয়েছে বিরোধী শিবির সূত্রে৷ এই প্রসঙ্গেই কংগ্রেস সভাপতি ও প্রবীণ সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গের দাবি, প্রধানমন্ত্রী যত সহজে মুখে এই কথা বলছেন, বাস্তবে তিনি অত সহজে এই পদক্ষেপ করতে পারবেন না৷ কারণ এক দেশ-এক ভোট নীতি প্রয়োগ করতে গেলে সংসদে সব রাজনৈতিক দলের সমর্থন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন-বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সাহায্যে তৈরি হচ্ছে মাস্টার প্ল্যান