সুদেষ্ণা ঘোষাল, দিল্লি: দুর্গা পুজোর মতো ব্যাপ্তি ও আড়ম্বর না থাকলেও রাজধানী দিল্লি-সহ নয়ডা, গাজিয়াবাদ অঞ্চলে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়েছে সার্বজনীন কালীপুজো৷ যেসব ক্লাব বা সংগঠনের তরফে দুর্গাপুজো করা হয়, তারা তো বটেই দিল্লি, নয়ডার বহু পুরোনো কালীমন্দিরে মহাধুমধাম সহকারে প্রতি বছর মা কালীর আরাধনা করা হয়৷ এই বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হল নয়ডা কালীবাড়ি৷ দিল্লির পরেই নয়ডা এখন বাঙালিদের কাছে ‘হোম অ্যাওয়ে ফ্রম হোম’— চাকরি বা ব্যবসাসূত্রে এখানে বসবাসকরা অগণিত বাঙালির কাছে নয়ডা কালীবাড়ির আকর্ষণ প্রচুর৷ ১৯৮৬ সালে মন্দির নির্মাণের পরে নয়ডা কালীবাড়িতে মা কালীর আরাধনা শুরু হয়৷ কালীপুজো উপলক্ষে বৃহস্পতিবার মায়ের মূর্তির বেশভূষায় আমূল পরিবর্তন করা হয়েছিল৷ মা কালীকে পড়ানো হয়েছিল একটি লাল বেনারসি৷ মায়ের গায়ে দেওয়া হয়েছিল আসল সোনার অলঙ্কার৷ গোটা মন্দির প্রাঙ্গণ সুসজ্জিত করা হয়েছিল অগণিত প্রদীপ ও আলোকমালায়৷ বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা নাগাদ একেবারে পাঁজি নির্দিষ্ট তিথি ধরে শুরু হয়েছিল মা কালীর পুজো৷ এই পুজোতে অংশগ্রহণ করার জন্য দিল্লি, নয়ডা, গাজিয়াবাদের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছিলেন অসংখ্য ভক্ত৷ এঁদের মধ্যে অনেকেই অংশগ্রহণ করেন মায়ের পুষ্পাঞ্জলিতে৷ নয়ডা কালীবাড়ির পুজো মাহাত্ম্যর পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কালীবাড়ির সহ-সভাপতি অনুপম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের এই পুজোর বিশেষ আকর্ষণ হল মায়ের ভোগ৷ সাত্ত্বিকভাবে তৈরি এই ভোগের মধ্যে খিচুড়ি, লুচি, পোলাও, সবজি, পায়েস, ক্ষীর, চাটনি, পাপড় সহ প্রচুর পদ থাকে৷ পুজো শেষে উপস্থিত ভক্তদের মধ্যে মাঝরাতেই ভোগ বিতরণ করা হয়৷ বৃহস্পতিবার মাঝরাতে নয়ডা কালীবাড়ির পুজো শেষ হল যখন তখন ঘড়ির কাঁটায় রাত প্রায় দেড়টা৷ এর পরে শুরু হল প্রসাদ বিতরণ৷ উপস্থিত ভক্তরা সবাই ভক্তিভরে মায়ের প্রসাদ খাবার পরে মা কালীর উদ্দেশে প্রণাম জানিয়ে যখন নিজের নিজের বাড়ি ফেরার পথ ধরেছেন, ততক্ষণে পুবের আকাশে লাল আভা৷