কোচের মন্ত্রেই সাফল্য, বলছেন দিয়ামানতাকোস

ধারাবাহিক ব্যর্থতার আঁধার কাটিয়ে মশালের শিখা। স্বপ্ন দেখতে ভুলে যাওয়া সমর্থকদের মধ্যে বিশ্বাস ফিরিয়ে দীর্ঘদিন পর এএফসি টুর্নামেন্টের নক আউটে দল।

Must read

প্রতিবেদন : ১১ বছর পর এএফসি প্রতিযোগিতার নক আউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে শহরে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। থিম্পু থেকে বিশেষ বিমানে শনিবার দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দরে নামে দল। সেখানে ক্লাব ও সমর্থকদের তরফে ফুল, মালায় অভ্যর্থনা জানানো হয় কোচ, ফুটবলারদের। বিমানবন্দর থেকে কোচ, ফুটবলাররা টিম বাসে আসেন ক্লাবে। কোচ অস্কার ব্রুজো এবং ফুটবলারদের নামে জয়ধ্বনি দেন সমর্থকরা। দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস, মাদি তালালরা মেনে নিচ্ছেন, ভুটানে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের সাফল্য আইএসএলে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে দলকে। ভুটানে সাফল্যের জন্য কোচকেও কৃতিত্ব দিচ্ছেন দিমিরা।

আরও পড়ুন-অশ্বিন, জাদেজায় জয়-সরণিতে ভারত, হাফ সেঞ্চুরি শুভমন ও ঋষভের

ক্লাবে আসার পর ফুটবলারদের স্বাগত জানান কর্তারাও। ধারাবাহিক ব্যর্থতার আঁধার কাটিয়ে মশালের শিখা। স্বপ্ন দেখতে ভুলে যাওয়া সমর্থকদের মধ্যে বিশ্বাস ফিরিয়ে দীর্ঘদিন পর এএফসি টুর্নামেন্টের নক আউটে দল। তাই প্রথা মেনে কোচ, ফুটবলারদের নিয়ে ক্লাব লনে পতাকা উত্তোলনও হল। মধ্যমণি ছিলেন অস্কার। খারাপ সময়ে নতুন স্প্যানিশ কোচের ছোঁয়াতেই বদলে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল ফের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। আগামী বছর মার্চে কোয়ার্টার ফাইনালে লাল-হলুদের প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব এফকে আর্কাদাগ। তার আগে আইএসএলে ঘুরে দাঁড়ানোর পরীক্ষা।
ক্লাবের কাফেটেরিয়ায় ক্রিকেট সচিবের আনা কেক কেটে সেলিব্রেশনও হল। শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার কেকের টুকরো কোচের মুখে তুলে দিলেন। ফুটবলারদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থাও ছিল। তাঁবু ছাড়ার সময় অস্কার অল্প কথায় জানিয়ে গেলেন, এএফসি-তে জয়ের আত্মবিশ্বাসই আইএসএলে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন-মার্কিন আইটি কোম্পানিতে এক ধাক্কায় ১৩০০ জন ছাঁটাই

জোড়া গোলে নেজমাহ ম্যাচের নায়ক দিয়ামানতাকোসকে নিয়ে সমর্থকদের উৎসাহ ছিল বেশি। গত মরশুমের আইএসএলে গোল্ডেন বুট জয়ী গ্রিক স্ট্রাইকার মনে করছেন, ভুটানের সাফল্য আইএসএলের মোটিভেশন। দিমির কথায়, ‘‘এই মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের জন্য টার্নিং পয়েন্ট এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে সাফল্য। নক আউট পর্বে ম্যাচ এখনও অনেক দেরি। তার আগে গ্রুপ পর্বের সাফল্য আমাদের অনুপ্রাণিত করবে আইএসএলে ভাল খেলতে।’’
কোচকেও কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না দিয়ামানতাকোস। বললেন, ‘‘ভুটানে যাওয়ার পর কোচ আমাদের বলেছিলেন, ভুলে যাও আইএসএল। ধরে নাও, এখান থেকেই আমাদের মরশুম শুরু হচ্ছে। ৯০ মিনিট দল হিসেবে খেলতে হবে। তাহলেই আমরা সাফল্য পাওয়ার রাস্তা খুঁজে পাব। কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পেরেছি আমরা। এএফসি নক আউটের জন্য ইস্টবেঙ্গল আরও ভালভাবে তৈরি হবে।’’

Latest article