প্রতিবেদন : এবার যাত্রা শিল্পীদের বেধড়ক পেটাল বিজেপির (BJP) নেতারা। ছাড় পাননি মহিলা শিল্পীরাও। তাঁদেরও কার্যত ফেলে পেটানো হয়েছে। শনিবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় সর্বত্র l বিজেপি আসলে কতটা নিম্নরুচির কাজ করতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে থাকল খেজুরির এই ঘটনা। পুজোর উৎসবের মরশুমে গ্রাম-বাংলার অন্যতম আকর্ষণের বিনোদন যাত্রা। শহরের যাত্রার দলগুলি তাই পুজোর আগে নতুন উপস্থাপনা নিয়েও তৈরি থাকে পুজোর সময় তুলে ধরার জন্য। সেই রকমই কলকাতার একটি যাত্রার দল পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে যাত্রা পরিবেশন করতে যায় শনিবার রাতে। খেজুরি বাজার কালীমন্দির কমিটির আয়োজনে যাত্রার শেষে হঠাৎই একদল বিজেপি নেতা তাঁদের উপর চড়াও হয়।
আরও পড়ুন-১২ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার ধর্ষক
যাত্রা শিল্পীদের তোলা ভিডিওতে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি জাগোবাংলা) দেখা যায় তিন নেতা রীতিমতো শিল্পীদের গায়ে হাত তোলেন। ভিডিও করা হলে সেই মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। শিল্পীরা অভিযোগ করেন, খেজুরি-২ মণ্ডল বিজেপি সভাপতি সন্দীপ দাস, বিজেপি যুব নেতা প্রীতম হাজরা ও বিজেপি নেতা সন্দীপ বেরা নামে তিন নেতা হঠাৎ এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল। মারধর করা হয় অভিনেতা অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মহিলা শিল্পী তিস্তার গায়েও হাত তোলা হয় বলে অভিযোগ। কেড়ে নেওয়া হয় তাদের মোবাইলও।
আরও পড়ুন-তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলা
পরে খেজুরি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে আটক করে। পালিয়ে যায় এক অভিযুক্ত। পুলিশ যেভাবে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে ও শিল্পীদের এলাকা থেকে নিরাপদে ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করে তাতে ধন্যবাদ জানান যাত্রাদলের শিল্পীরা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিবাদ করেন অন্য শিল্পীরাও। শিল্পীদের একজোট হয়ে এই ধরনের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর প্রচারও চালানো হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত জেলা বা রাজ্যস্তরে কোনও বিজেপি নেতাই একটি শব্দও বলেননি। কোন লজ্জায় মুখ খুলবেন বিজেপি নেতারা! শিল্পীদের দাবি, কমিটির একাংশ তাদের অনুষ্ঠানে সন্তুষ্ট হন। কিন্তু দু থেকে তিন জনের দুষ্কৃতি দল পরিকল্পিতভাবে গন্ডগোল বাঁধানোর জন্য তারা অনুষ্ঠানের দুর্নাম করতে থাকেন। এরপরই আমাদের ওপর হামলা চলে। কোনক্রমে বেঁচে আছি আমরা। স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি অরূপ দাস জানান, এটাই বিজেপির চরিত্র। ওদের কাছে কেউ নিরাপদ নয়। মানুষ বুঝতে পারছে বিজেপির আচ্ছে দিনের পরিনাম। তাই দিকে দিকে নির্বাচনে বিজেপির ওপর বিপর্যয় নেমে পড়ছে।