প্রতিবেদন: বিধানসভার নির্বাচনে প্রচারে গিয়ে ঝাড়খণ্ডে মিথ্যার বেসাতি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আরও ভালভাবে বললে মিথ্যার ঝড় তুললেন, বিভ্রান্ত করলেন রাজ্যের মানুষকে। বন্যা বইয়েছেন মিথ্যা প্রতিশ্রুতিরও। জনজাতিদের বিভ্রান্ত করতে মিথ্যা বুলি আওড়েছেন অনুপ্রবেশ এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়েও। অমিত শাহকে অবশ্য মুখের উপরে জবাব দিয়েছে বিরোধীরা। তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল। টেনে খুলে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখোশ।
আরও পড়ুন-নির্যাতিতার পরিবারের পাশে তৃণমূল
আসলে অনুপ্রবেশ সমস্যার জন্য বিরোধীদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে চেয়েছিলেন গেরুয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রবিবার তিনি মন্তব্য করেন, রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়েই অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি ঝাড়খণ্ডে। এ ব্যাপারে তিনি সরাসরি কটাক্ষ করেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ভিত্তিহীন মন্তব্য শুনে শুধু রাজনৈতিক মহল নয়, বিস্ময়ে হতবাক সাধারণ মানুষও। তৃণমূলের প্রশ্ন, আর কতটা নীচে নামবে বিজেপি? মিথ্যাচারের তো একটা সীমা থাকবে? অনুপ্রবেশের জন্য কোন যুক্তিতে দায়ী করা হবে রাজ্য সরকারকে? অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করা তো কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ। তারজন্য সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ওই বাহিনী তো অমিত শাহর দফতরেরই অঙ্গ। অনুপ্রবেশের কথা বলতে গিয়ে কি অমিত শাহ আসলে স্বীকার করে নিচ্ছেন না তাঁরই অপদার্থতার কথা?
আরও পড়ুন-কিশোরের পেটে ব্লেড-পেরেক, বাঁচানো গেল না অস্ত্রোপচারেও
অমিত শাহকে এক হাত নিয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, অনুপ্রবেশের ধুয়ো তুলে মোদি-অমিত শাহ কৌশলে বিএসএফের এলাকা প্রসারিত করল। যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতি-পরিকাঠামোকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একতরফাভাবে এ কাজ করল গেরুয়া কেন্দ্র। আগে সীমান্ত থেকে ১৫ কিমি পর্যন্ত ভেতরে সীমাবদ্ধ থাকতো বাহিনীর তৎপরতা। কিন্তু অযৌক্তিকভাবে তা বাড়িয়ে করে দেওয়া হল ৫০ কিমি। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে এভাবেই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল তারা। এরপরেও অনুপ্রবেশ? কেন? কী করছে কেন্দ্র? বিরোধীদের সাফ কথা,বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে কিছুতেই নিজেদের অপদার্থতাকে ঢাকা দিতে পারবে না বিজেপি।