বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এদেশে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি নেটওয়ার্ক তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ। আইএসআইয়ের মদতে বাংলাদেশে শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি এরাজ্যের বেশ কিছু জেলাকে টার্গেট করেছে তারা। প্রথমে তিনটি জেলা- মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরে নতুন জঙ্গি মডিউল তৈরির ছক করছে ISI ও JMB। এর পরে তাদের টার্গেট বীরভূম, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশের বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শক্তি বৃদ্ধি করছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। তাদের আধিকারিকরা নিজেরা ও এজেন্ট মারফৎ নিয়মিত জামাত-উল-মুজাহিদিনের মতো বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের সময় থেকেই গোয়েন্দাদের নজর বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবির উপর। সেই সময়কার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে কলকাতা ও রাজ্যব পুলিশ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। দুদেশে যৌথ উদ্যোগে জেএমবি-র কার্যকলাপের উপর রাশ টানা হয়। যদিও জেএমবির মূল মাথা সালাউদ্দিন সালেহিন ধরা যায়নি।
আরও পড়ুন:
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জেএমবির (JMB) সঙ্গে পাক চর সংস্থা আইএসআই নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছে। এর মধ্যেই জেএমবির কয়েকজন নেতার সঙ্গে রাজশাহী-সহ কয়েকটি জেলার বৈঠক হয়েছে আইএসআই এজেন্ট ও আধিকারিকদের। আইএসআই আর্থিকভাবেও জেএমবি নেতৃত্বকে মদত দিচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে বাংলাতেও সন্ত্রাস ছড়ানো ও জঙ্গি মডিউল তৈরির চেষ্টা করছে জেএমবি। এবিষয়ে রাজ্যি ও কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দাদের সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এই বিষয়ে জঙ্গিদের প্রধান টার্গেট মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর। তার পরে বীরভূম, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নেটওয়ার্ক তৈরির ষড়যন্ত্র করছে জেএমবি। সতর্কবার্তা পাওয়ার পরে কলকাতা-সহ সারা রাজ্যেত নতুন করে নজরদারি শুরু করেছেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। এছাড়াও নজরদারি শুরু করেছে রাজ্য৪ পুলিশের গোয়েন্দা দফতরও।