প্রতিবেদন : এবার থেকে রেশনে (Ration) খাদ্যসামগ্রী নেওয়ার সময় উপভোক্তারা ভর্তুকির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন৷ উপভোক্তাদের যে পরিমাণ খাদ্যশস্য দেওয়া হবে, তার পাশাপাশি সেই খাদ্যশস্যের পিছনে কেন্দ্র এবং রাজ্যের খরচের শেয়ার কতটা, তারও উল্লেখ থাকবে। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা আসার পরই এ-বিষয়ে নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের খাদ্য দফতরের তরফে৷
আরও পড়ুন- খুদের প্রাণ বাঁচালো বাংলার শিশুসাথী প্রকল্প, ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রীকে
রেশনে (Ration) চাল-গম দিতে সরকারের কত টাকা খরচ হচ্ছে তা গ্রাহকদের স্লিপে উল্লেখ করা হচ্ছে। রেশন দোকানের ই-পস যন্ত্র থেকে কাগজের এই স্লিপ বেরোয়। যেহেতু রেশন-গ্রাহকেরা চাল-গম বিনামূল্যেই পান, তাই ওই স্লিপে দামের কোনও উল্লেখ থাকত না। রাজ্য খাদ্য দফতর এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, ১ নভেম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা এবং রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার আওতাভুক্ত গ্রাহকদের জন্য নতুন স্লিপ চালু হয়েছে। রেশন গ্রাহকদের প্রতি-কেজি চালের জন্য সরকারের খরচ ৩৭ টাকা ৪৬ পয়সা ধরা হয়েছে। গমের প্রতি-কেজির খরচ ধরা হয়েছে ২৭ টাকা ৮ পয়সা।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার সমস্ত খরচ কেন্দ্রীয় সরকার এককভাবে বহন করে এ কথা সত্যি নয়। এক্ষেত্রে রাজ্যকে রেশন ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের কমিশন এবং পরিবহণ খরচ বহন করতে হয়। আরকেএসওয়াই ১ এবং আরকেএসওয়াই ২-এর অধীনে যে খাদ্যশস্য উপভোক্তাদের দেওয়া হয়, এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে সমস্ত খরচ বহন করতে হয়। রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার সমস্ত খরচ বহন করে রাজ্য। আর সে-কারণেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে কেন্দ্রীয় খরচের খতিয়ান যেমন স্লিপে থাকবে, একইভাবে রাজ্য সরকার উপভোক্তাদের জন্য কত টাকা খরচ করছে, তার হিসাবও দেওয়া থাকছে সেখানে।