প্রতিবেদন : আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অভিবাসী ভোট একটা বড় ভূমিকা নিয়ে থাকে। এবারের নির্বাচনে সেই ভোট কার্যত অন্যতম ইস্যু। তা নজরে রেখে নিউইয়র্ক শহরের ব্যালটেও রাখা হল এশিয়ার ভাষা। আর সেই ভাষা হিসাবে স্থান পেল বাংলা। নিউইয়র্ক শহরের ব্যালটে ইংরেজি বুঝে ভোট দিতে সমস্যা হলে এবার বাংলা ভাষায় নির্দেশ বুঝে ভোট দেওয়ার সুবিধা পাবেন অভিবাসীরা।
মঙ্গলবার মার্কিন মুলুকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মূল পর্ব। যদিও সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে বিভিন্ন প্রদেশে আর্লি ভোটিং প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ইতিমধ্যেই ব্যালট বা ই-মেলে অগ্রিম ভোট প্রক্রিয়ায় ভোট দিয়ে ফেলেছেন। মঙ্গলবার মূল ভোটদান প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে সন্ধ্যা ৭টার পরে থেকে হবে ভোট গণনা।
আরও পড়ুন-প্রচারে লাপাতা বিজেপি
তবে নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের জন্য যে ব্যালট থাকছে, তাতে বাংলায় নির্দেশ থাকছে। ব্যালটে ইংরেজি ছাড়াও অন্য সুবিধাজনক ভাষা রাখার জন্য একটি মামলা হয়। সেই মামলায় এশিয়ার একটি ভাষা রাখার দাবি জানানো হয়। সেখানে এক ভারতেরই বিভিন্ন ভাষা লড়াইয়ে নামে। সেই লড়াইয়ে বাংলাকে এশীয় ভাষা হিসাবে রাখার প্রস্তাব পাশ হয়। মূলত জনসংখ্যার ঘনত্ব হিসাবে এই স্বীকৃতি পায় বাংলা। স্পষ্টত বোঝা যায়, আমেরিকায়, বিশেষত নিউইয়র্ক শহরে অভিবাসী হিসাবে সর্বাধিক বাংলা ভাষার মানুষই রয়েছেন। ভারত ও বাংলাদেশের অসংখ্য বাংলাভাষী মানুষ থাকেন সেখানে। তাঁদের সূত্রেই মর্যাদা পেল বাংলা।
এদিকে মঙ্গলবার আমেরিকার ৫০টি প্রদেশে ভোটদান প্রক্রিয়া শেষ হবে। ইতিমধ্যে ভোট দিয়েছেন সাড়ে ৭ কোটির বেশি আমেরিকাবাসী। লক্ষাধিক অভিবাসী রয়েছেন এই ভোট প্রক্রিয়ায়। এর মধ্যে বেশিরভাগ বাংলাদেশের নাগরিক রয়েছেন বলে সমীক্ষায় দাবি।