পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রাচীরে গভীর ফাটল, পুরাতত্ত্ববিদদের সাহায্য চাইল কর্তৃপক্ষ

দেশের অন্যতম প্রধান পুরাতাত্ত্বিক আকর্ষণ পুরীর জগন্নাথ মহাপ্রভুর মন্দিরের প্রাচীরে দেখা দিয়েছে গভীর ফাটল। সেখানে জমেছে শ্যাওলার পুরু স্তরও।

Must read

প্রতিবেদন : শুধু উদ্বেগজনক বললে বোধহয় কম বলা হবে, বিষয়টা প্রকৃত অর্থেই গভীর উদ্বেগের। দেশের অন্যতম প্রধান পুরাতাত্ত্বিক আকর্ষণ পুরীর জগন্নাথ মহাপ্রভুর মন্দিরের প্রাচীরে দেখা দিয়েছে গভীর ফাটল। সেখানে জমেছে শ্যাওলার পুরু স্তরও। একটা নয়, একাধিক ফাটল। সেই ফাটল দিয়েই চুঁইয়ে পড়ছে নোংরা বর্জ্য জল। মূল মন্দিরের বাইরে মন্দিরের চৌহদ্দি নির্দিষ্ট করে যে পুরু দেওয়াল আছে তাকে বলা হয় মেঘনাদ পচেরী। ফাটল গ্রাস করছে সেই দেওয়ালকেই। স্বাভাবিকভাবেই গভীর উদ্বিগ্ন মন্দির কর্তৃপক্ষ। জায়গাটা কোথায়? মন্দিরের ভেতরে আনন্দবাজারে— যেখান থেকে প্রসাদ বিতরণ হয় মহাপ্রভুর। অথচ দিবারাত্রই ভিজে থাকে লাগোয়া দেওয়াল। যা শুধু মন্দির এবং ভক্তদের সুরক্ষা কিংবা নিরাপত্তার পক্ষেই বিপজ্জনক নয়, স্বাস্থ্যের প্রশ্নেও একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

আরও পড়ুন-প্রচারে লাপাতা বিজেপি

এই গভীর ফাটলের কারণ নিয়ে নানা মত রয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে অন্ধকারে রেখে হয়তো কোনওদিন কিছু কাজ করা হয়েছিল এই দেওয়ালে। আবার এমনও হতে পারে, দীর্ঘদিনের অযত্নের পরিণতিতে এই ফাটল। নোংরা জল চুঁইয়ে ভেতরে প্রবেশ করে প্রাচীরের গাঁথুনি এবং ভিত আরও আলগা করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই আর দেরি করতে রাজি নয় কর্তৃপক্ষ। দ্রুত মেরামতির জন্য আর্কিওলজিক্যাল সোসাইটির সাহায্য চেয়েছে ওড়িশা সরকার। দেখা হচ্ছে, এই ফাটলের নেপথ্যে কোনও গাফিলতি বা বেআইনি কিছু রয়েছে কি না। যদি তা হয়, তবে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

Latest article