সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর : ‘কালী-কার্তিকের দেশ’ হিসেবে পরিচিত বাঁকুড়ার অন্যতম প্রাচীন পুরশহর সোনামুখী। তার মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ‘হটনগর’ কালীপুজো। কার্তিক মাসের অমাবস্যায় বিশেষ বাৎসরিক পুজো হয়। কথিত আছে, সাড়ে চারশো বছর আগে সোনামুখী ছিল জঙ্গলে পূর্ণ একটি স্থান। তারিণী সূত্রধর নামে এক বৃদ্ধা প্রতিদিন ঝুড়ি মাথায় নিয়ে বড়জোড়ার নিরশা গ্রামে চিঁড়ে বিক্রি করতে যেতেন। ফেরার পথে এক খালের ধারে বিশ্রাম নিতেন। সেখানে প্রায়দিনই লালপাড় সাদা শাড়ি পরা একটি ছোট্ট শ্যামাঙ্গী মেয়ে তাঁর সঙ্গে সোনামুখী যাওয়ার জন্য বায়না করত।
আরও পড়ুন-বিধায়ক জাকির হোসেনের উদ্যোগ জঙ্গিপুরে মুর্শিদাবাদের প্রথম বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ
বৃদ্ধা প্রতিদিনই ভুলিয়ে রাখলেও একদিন সে জেদ ধরে বসল যাবেই। নিরুপায় হয়ে তারিণী তাকে সঙ্গে নেন। কিছু দূর যাওয়ার পর মেয়েটি জানায় সে হাঁটতে পারছে না। বৃদ্ধার মাথায় চিঁড়ের বস্তা। মেয়েটি তার ওপরেই চড়ে বসে। কিন্তু বাড়ি ফিরে দেখেন, ঝুড়িতে মেয়েটি নেই, রয়েছে দুটি পাথর। রাতেই বৃদ্ধার স্বপ্নে হাজির ছোট্ট মেয়েটি। জানায়, সে মা কালী। পুজোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয়। স্থানীয় জমিদারপত্নী কাদম্বরী দেবী মন্দির নির্মাণে একখণ্ড জমি দান করেন। বর্তমানে অজিত সিংহ নামে একজন মন্দির তৈরি করে দিয়েছেন। মন্দিরের সামনে রাখা তারিণীর মাথায় ধানের ঝুড়িতে চেপে মা। অন্যদিকে সিদ্ধপুরুষ হটযোগী। সবার উপরে শিব। আজ সোনামুখীর কালীপ্রতিমা বিসর্জন হল বেলা তিনটে নাগাদ।