প্রতিবেদন : বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা-সহ আওয়ামি লিগের অতীত ও বর্তমান নেতৃত্ব এবং এই দলের অবদান মুছে ফেলতে সক্রিয় মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে প্রশাসনযন্ত্র কাজে লাগিয়ে যেভাবে একতরফাভাবে আওয়ামি লিগের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বকে অসংখ্য ভুয়ো মামলায় জর্জরিত করে রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে দিতে চায় জামায়াত প্রভাবিত অন্তর্বর্তী সরকার, তা অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন-রোহিতদের নিয়ে আশায় ধাওয়ান
ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসংঘের সফরকারী টিমের কাছে কোটা-সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন বহু মানুষের মৃত্যুর তথ্য দিয়ে ইউনুস সরকার দাবি করেছে, গণহত্যায় অভিযুক্ত করে হাসিনা ও আওয়ামি লিগের নেতাদের বিচার ও প্রাণদণ্ড দিতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে। দেশত্যাগী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উপর চাপ বাড়াতে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে আওয়ামি লিগের ছাত্র শাখা ছাত্রলিগকে। এই পরিস্থিতিতে এবার পাল্টা তালিকা দিয়ে আওয়ামি লিগের প্রায় ৪০০ নেতা-কর্মী খুনের তথ্য রাষ্ট্রসংঘের অনুসন্ধানকারী টিমের হাতে তুলে দিতে চায় হাসিনার দল। বদলের বাংলাদেশে এই নিহতদের বিষয়ে তথ্য পেশ করে তাদের বিচার চাইবে আওয়ামি লিগ। প্রায় ৪০০ কর্মী খুনের তথ্য পেশ করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপ তৈরি করাই আওয়ামি লিগের উদ্দেশ্য। হাসিনার দলের নেতারা মনে করেন, একতরফা প্রচারে যেভাবে আওয়ামি লিগকে কলুষিত করা হচ্ছে এবং বঙ্গবন্ধুর দলের অবদানকে অস্বীকার করার চক্রান্ত চলছে তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে অবহিত করা জরুরি। আওয়ামি লিগ সরকারের পতন ঘটানোর উদ্দেশ্যে যেভাবে দলের অসংখ্য কর্মীকে খুন করা হয়েছে তাদের সুবিচারের জন্যও সমান উদ্যোগ নিক রাষ্ট্রসংঘ। কারণ এক্ষেত্রেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সমানভাবে ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, কয়েকশো নিহত নেতা-কর্মীর নাম-বাসস্থান, হত্যার ঘটনার দিন ও স্থানের নাম-সহ তালিকা প্রস্তুত করে তা রাষ্ট্রসংঘে পেশ করা হবে। যদিও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামি লিগের পক্ষে এধরনের তথ্য জোগাড়ের কাজ যে খুবই কঠিন এবং প্রশাসনিক সহযোগিতা পাওয়ার আশাও যে নেই বললেই চলে তা স্পষ্ট।