প্রতিবেদন : ইস্টবেঙ্গল মাঠে তখন ডার্বির প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। অস্কার ব্রুজোর টিমের ক্লোজড ডোর অনুশীলন যখন চলছে, ঠিক তখনই লাল-হলুদ তাঁবুতে এসে হাজির মোহনবাগানের ঘরের ছেলে ‘সবুজ তোতা’ জোসে রামিরেজ ব্যারেটো। ক্লাব গেটের বাইরে উপস্থিত সমর্থকদের কৌতূহল ছিল ময়দানের প্রাক্তন ব্রাজিলীয় তারকার ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে পা রাখা নিয়ে। কখনও লাল-হলুদ জার্সি গায়ে না খেললেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের প্রতি ব্যারেটোর ভালবাসা, আন্তরিকতায় মুগ্ধ ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
আরও পড়ুন-কানাডার সাইবার শত্রুর তালিকায় ভারতের নাম
দ্রুত জল্পনার অবসান হয়। ব্যারেটো নিজেই আসতে চেয়েছিলেন ক্লাবে। সময়মতো সবুজ তোতাকে ডেকে নেন ক্লাবের শীর্ষকর্তা। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের স্পোর্টস লাইব্রেরি ও মিউজিয়াম ঘুরে দেখেন ব্যারেটো। তাঁর হাতে ক্লাবের শতবর্ষের জার্সি তুলে দেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। ১৯২৫ সালের প্রথম লাল-হলুদ জার্সিও দেখানো হয় ব্যারেটোকে। ময়দানে খেলে যাওয়া গিলমারের জন্যও ইস্টবেঙ্গল জার্সি নিয়ে যান সবুজ তোতা। ইস্টবেঙ্গল মিউজিয়াম দেখে মুগ্ধ ব্যারেটো ভিজিটর বুকে লেখেন, ‘‘ক্লাবের অসাধারণ ইতিহাস দেখে আমি বাকরুদ্ধ।’’
আরও পড়ুন-ইউনুসের অপছন্দের প্রার্থীর জয়, চাপ কি বাড়ল বাংলাদেশের?
ব্যারেটো বরণের দিনে ইস্টবেঙ্গলে ডার্বির প্রস্তুতিও তুঙ্গে। নিজেদের মাঠে ক্লোজড ডোর প্রস্তুতিতে এদিন পাসিং ফুটবলে জোর দেন কোচ অস্কার ব্রুজো। পাশাপাশি হেক্টর ইয়ুস্তের অনুপস্থিতিতে রক্ষণ সংগঠনেও বাড়তি নজর স্প্যানিশ কোচের। দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস এদিন টিমের সঙ্গেই পুরোদমে অনুশীলন করেছেন। অনুশীলন শেষে কোচ অস্কার ও ফুটবলারদের লাল-হলুদ সমর্থকরা সংবর্ধনা দেন এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার জন্য। কোচ, ফুটবলারদের জাতীয় পতাকার উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কেকও কাটেন সমর্থকরা। অন্যদিকে, যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে চলে মহামেডানের প্রস্তুতি। টানা তিন হারের ধাক্কার মধ্যেই আন্দ্রে চেরনিশভের দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে জোসেফ আদজেইয়ের নতুন করে পাওয়া চোট। শনিবার জোসেফকে পাচ্ছে না মহামেডান।