প্রতিবেদন : বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর থেকে চিকিৎসকের ফিজ ছাড়াও বাড়তি টাকা নেওয়া হয়। কোনও দিতে হয় ২০০ টাকা, কোথাও ৩০০ টাকা। ওই বাড়তি অর্থকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে রেজিস্ট্রেশন ফিজ চিহ্নিত করা হয়। রোগীদের থেকে ধার্য করা এই রেজিস্ট্রেশন ফিজের মেয়াদ কোনও হাসপাতালে ৬ মাস, আবার কোথাও একমাস। মেয়াদ শেষ হলে রোগী যতবার ডাক্তার দেখাতে যান, ততবার এই রেজিস্ট্রেশন ফিজ দিতে হয়। এই নিয়মেই এবার বদল আনছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্যয় নিয়ন্ত্রক কমিশন। বুধবার কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রেশন ফিজের নামে বারবার আড়াইশো-তিনশো টাকা করে রোগীর কাছ থেকে নেওয়া যাবে না। প্রথমবার রোগী যখন দেখাতে আসবেন, সেই একবারই নেওয়া যাবে রেজিস্ট্রেশন ফিজ।
সম্প্রতি শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে জনৈক দেবব্রত চক্রবর্তী এই রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ অতিরিক্ত আড়াইশো টাকা দিতে হয়। তারপরই রাজ্যর স্বাস্থ্যর নিয়ন্ত্রক কমিশনে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানান তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৈঠকে বসে স্বাস্থ্য্ নিয়ন্ত্রক কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ডেকে পাঠানো হয় ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও। কমিশনের প্রশ্নের জবাবে হাসপাতাল জানায়, রোগীদের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বাথরুম, হুইল চেয়ার, ট্রলি, হ্যান্ড স্যা নিটাইজার-সহ একগুচ্ছ অতিরিক্ত পরিষেবা দেওয়া হয়। তার জন্যই এই রেজিস্ট্রেশন ফিজ। তবে হাসপাতালের এই কথায় মান্য্তা দেয়নি রাজ্যর স্বাস্থ্যন নিয়ন্ত্রক কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যাগন অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালেই রোগীর তথ্যমভাণ্ডার মেইনটেন করতে রেজিস্ট্রেশন চার্জ নেয়। কিন্তু সব হিসাব করে আমরা দেখেছি রেজিস্ট্রেশন চার্জ একবারই নেওয়া যাবে।