প্রতিবেদন : আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের খুনের ঘটনা নিয়ে যেমন তদন্ত করছে সিবিআই (CBI), তেমনি তদন্ত চালাবে তারা৷ বৃহস্পতিবার সিবিআই স্ট্যাটাস রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরে সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ এই ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের স্ট্যাটাস রিপোর্ট নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলেনি শীর্ষ আদালত৷ একইসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই মামলার ট্রায়াল শিয়ালদহ এসিজেএম আদালতেই চলবে, রাজ্যের বাইরে তা স্থানান্তর করা হবে না৷ এই প্রসঙ্গে জনৈক আইনজীবীর আবেদন খারিজ করেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ৷ শুধু তাই নয়, নিম্ন আদালতের (শিয়ালদহ এসিজেএম) উপরে যে তাঁদের পূর্ণ আস্থা আছে, সেকথাও জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় নিজেই৷ এই প্রসঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, নিম্ন আদালতের বিচারকের হাতে প্রচুর ক্ষমতা আছে৷ উনি সাক্ষ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখার পরে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন৷ আমরা এই বিষয়ে কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করব না৷ আগে ট্রায়াল শুরু হতে দিন, পরে অন্য বিষয়গুলি বিবেচনা করা হবে৷ শীর্ষ আদালতের এদিনের অবস্থান থেকেই স্পষ্ট, নিরপেক্ষ এবং অবাধ ট্রায়াল পরিচালনাই চাইছে সুপ্রিম কোর্ট৷ ট্রায়াল যাতে কোনওভাবেই প্রভাবিত না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য এদিন কোনও মন্তব্য করেনি সুপ্রিম কোর্ট৷
আরও পড়ুন-ধাপায় বায়ো সিএনজি প্ল্যান্ট তৈরী করবে কলকাতা পুরসভা
এদিন সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে সওয়াল করার সময়ে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল সাফ জানান, তাঁরা চাইছেন দ্রুত দোষীর সাজা হোক৷ চার সপ্তাহ পরে আবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হবে, নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি৷ ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসরগ্রহণ করবেন৷ তার পরে নতুন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না স্থির করবেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের সঙ্গে অন্য কোনও বিচারপতি এই মামলার শুনানি করবেন কিনা৷ তাৎপর্যপূর্ণ হল, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর-কাণ্ডে তাদের তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে ষষ্ঠ স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই৷ কেন্দ্রীয় এজেন্সির রিপোর্ট নিয়ে কোনও প্রশ্ন বা আপত্তি করেননি প্রধান বিচারপতি। ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়-সহ বাকি দুই বিচারপতি বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে এই স্ট্যাটাস রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন৷ এর পরেই তাঁরা জানান, সিবিআই যেমন তদন্ত করছে, তেমনই করবে৷ চার সপ্তাহ পরে ফের স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেবে সিবিআই৷ এদিনের শুনানিতে রিপোর্ট পেশ করেছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স বা এনটিএফ৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চিকিৎসাকেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তা, যৌনহেনস্থা রুখতে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে এনটিএফ৷ এই সুপারিশ খতিয়ে দেখে সুপ্রিম কোর্টে তিন সপ্তাহের মধ্যে নিজেদের অভিমত জানাবে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি৷