প্রতিবেদন: কী বলা যেতে পারে একে? নগর পঞ্চায়েতের গেরুয়াকরণ? নাকি পঞ্চায়েতে রামরাজত্ব কায়েম? যাই হোক না কেন, যোগীরাজ্যের প্রতাপগড়ে লাজলজ্জার মাথা খেয়ে এমন একটা কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছেন দু’টি নগর পঞ্চায়েতের ২ মহিলা প্রধান, যা নিয়ে শুধু বিস্ময় নয়, ঝড় উঠেছে সমালোচনারও। নিজেদের বসার চেয়ারে তাঁরা রেখেছেন ‘প্রভু রাম’এর ছবি। তার বদলে তাঁরা পঞ্চায়েতের কাজকর্ম চালাচ্ছেন অন্য চেয়ারে বসে। এবং কুণ্ঠাহীনভাবে এর সপক্ষে যুক্তিও খাড়া করেছেন তাঁরা। লোকজনকে বলছেনও সেকথা। কী বলছেন তাঁরা? প্রভু রাম আমাদের দফতরের সমস্ত কাজকর্ম চালাচ্ছেন। এমন আজব কথায় অবাক সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল। প্রশ্ন একটাই, নেপথ্যে কি নিজেদের ব্যক্তিগত আবেগ আর বিশ্বাস, নাকি বিজেপির শীর্ষ-নেতৃত্বের চাপ? মানুষকে বোকা বানানোর নয়া গেরুয়া চাল? প্রশ্ন উঠেছে এর বৈধতা নিয়েও। আমজনতার কটাক্ষ, এ যেন সেই রামায়ণের কাহিনি। রামের পাদুকা সিংহাসনে রেখে রাজত্ব চালিয়েছিলেন ভরত।
আরও পড়ুন-পোড়ালি জ্বালানো, সুপ্রিম চাপে জরিমানা বৃদ্ধি দিল্লিতে
কাদের মাথায় চাপল এমন অদ্ভুত খেয়াল? দু’জনেই প্রতাপগড় জেলার নগর পঞ্চায়েতের শীর্ষ পদাধিকারী। একজন গাদওয়ারা নগর পঞ্চায়েতের প্রধান সীমা সিংহ। আর দ্বিতীয়জন সদর উন্নয়ন ব্লকের প্রধান শেষা দেবী। দু’জনেই প্রকাশ্যে দাবি করছেন, আমরা প্রভু রামের প্রতিনিধিত্ব করছি। সীমার দাবি, রামের ভরসাতেই গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ের মুখ দেখেছেন তিনি। সেই কারণেই ঈশ্বরের প্রতি সম্মান জানিয়ে নিজের আসন ছেড়ে দিয়েছেন রামের জন্য। অন্যদিকে শেষা দেবীর বক্তব্য, গত ৩ বছর ধরে নিজের আসন প্রভু রামকে উৎসর্গ করেছেন তিনি। ৩ বছর আগে নির্বাচনে জিতে সেই জয় তিনি উৎসর্গ করেছেন প্রভু রামকেই। গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষ অবশ্য মেনে নিতে পারছেন না এমন যুক্তি।