প্রতিবেদন: আদালতের বাইরে অভিযুক্ত এবং পীড়িতের মধ্যে বোঝাপড়ার মাধ্যমে যৌন হেনস্তার মামলা নিষ্পত্তি করা যাবে না। রাজস্থান হাইকোর্টের একটি আদেশ খারিজ করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সিটি রবিকুমার এবং পিভি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল গত বছর অক্টোবর মাসে। রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ শীর্ষ আদালতে। রাজস্থানের ১৫ বছরের একটি মেয়ের বাবা যৌন হেনস্তার অভিযোগ করে একটি মামলা দায়ের করেন। তারপরেই অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতার পরিবার আদালতের বাইরে পারস্পরিক সমঝোতা করে নেয়।
আরও পড়ুন-জগন্ময়ী জগদ্ধাত্রী
এই সমঝোতার ভিত্তিতে অভিযুক্ত রাজস্থান হাইকোর্টে মামলা খারিজের আবেদন জানান। সেই আর্জির ভিত্তিতে হাইকোর্ট যৌন হেনস্তার অভিযোগটি খারিজ করে দেয়। রামজিলাল বৈরা নামে তৃতীয় এক ব্যক্তি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। প্রাথমিকভাবে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় যে, সরাসরি যুক্ত নয় এমন ব্যক্তির ফৌজদারি আর্জি গৃহীত হতে পারে না। যদিও পরে শীর্ষ আদালত মামলাটি গ্রহণ করতে রাজি হয় এবং নির্যাতিতা এবং অভিযুক্তকে এই মামলায় যুক্ত করে। শেষপর্যন্ত মামলার রায় ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের রায় খারিজ করেছে। মামলার শুনানিতে প্রশ্ন উঠেছিল যে অভিযুক্ত এবং পীড়িত ব্যক্তির মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে যৌন হয়রানির মামলা কোনও হাইকোর্ট সিআরপিসি ধারা ৪৮২-র অধীনে ক্ষমতা প্রয়োগ করে বাতিল করতে পারে কি না? উল্লেখ্য, যৌন হেনস্তার মামলায় অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তপক্ষ আদালতের বাইরে আর্থিক সমঝোতা করে নেয়। ধর্ষণের মামলাতেও বহু ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের বাইরেই টাকাপয়সা লেনদেনের মাধ্যমে কিংবা বিয়ের শর্তে আদালতে গিয়ে অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়। শীর্ষ আদালত রাজস্থান হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে আইন অনুসারে বিচারের আদেশ দিয়েছে।