প্রতিবেদন : ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস কেলেঙ্কারিতে মুখ পুড়েছে কেন্দ্রের। সুষ্ঠুভাবে যে তারা পরীক্ষা নিতে ব্যর্থ সেই কথা প্রমাণ করেছে পরিস্থিতি। এদিকে রাজ্য বারবার দাবি জানিয়েছে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলিকে পুনরায় রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে ডাক্তারি পরীক্ষায় কড়াকড়ি করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। স্বচ্ছতার সাথে যাতে পরীক্ষা হয় সে বিষয়ে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মেনেই পরীক্ষা ব্যবস্থা যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায় সেই বিষয়ে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন-ধান্দাবাজ কারা, বুঝে গেছি আমরা
জানানো হয়েছে, এবার থেকে নকল করা বা অনিয়ম রুখতে পরীক্ষা চলাকালীন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও পুরো পরীক্ষা প্রক্রিয়া সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাধীন করার কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী আগামী দিনে পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করা হবে। ওই বৈঠকে একটি নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে, প্রত্যেকটি পরীক্ষা কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো বাধ্যতামূলক। সেই ফুটেজ এক বছর সংরক্ষিত রাখতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হবে। এছাড়াও পরীক্ষা চলাকালীন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশ্নপত্র ছাপানোর সময় পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। প্রত্যেকটি প্রশ্নপত্রের নির্দিষ্ট বারকোড থাকবে। ২৫ জন পরীক্ষার্থী পিছু একজন করে পরীক্ষক থাকবে।