কোয়েটা স্টেশনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ: হত একাধিক সেনা-সহ ২৮, জখম বহু

সম্ভবত পাকসেনারাই ছিল জঙ্গি-টার্গেট

Must read

প্রতিবেদন: ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে আবার কেঁপে উঠল পাকিস্তানের মাটি। প্রাণ হারালেন অন্তত ২৮ জন। নিহতদের মধ্যে অনেক সেনাকর্মীও আছেন। জখমের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। স্টেশনে (Quetta Station) অপেক্ষারত সেনারাই এদিনের বিস্ফোরণের লক্ষ্য ছিল বলে তদন্তে প্রাথমিকভাবে উঠে আসছে। শনিবার সকালে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল বালুচিস্তান প্রদেশ। কোয়েটা রেলস্টেশনে আচমকাই প্রবল আওয়াজ। বিস্ফোরণের অভিঘাতে শুধুমাত্র স্টেশন চত্বর নয়, কেঁপে ওঠে গোটা এলাকার ঘরবাড়িও। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে, এটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। তবে কোনও সংগঠন এর দায় স্বীকার করেনি এখনও। কে বা কারা এই বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত সেব্যাপারে পুলিশ আপাতত অন্ধকারে। তবে মনে করা হচ্ছে, সেনাকর্মীদের লক্ষ্য করেই আত্মঘাতী হামলা হয়। চলতি মাসে এই নিয়ে বালুচিস্তানে এটি দ্বিতীয় বড় বিস্ফোরণ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। পুলিশ সূত্রে খবর, কোয়েটা স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বিস্ফোরণটি হয়। স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ওই প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়িয়েছিল। প্ল্যাটফর্মে তাই যাত্রীদের ভিড়ও ছিল যথেষ্ট। প্ল্যাটফর্মে ছিল সেনার একটি দল। ট্রেনে ওঠার জন্য যাত্রীরা যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক সেই সময়েই জোরালো বিস্ফোরণ হয়। কেঁপে ওঠে চারদিক। আতঙ্কিত যাত্রীদের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আর্তচিৎকারে ভরে যায় গোটা স্টেশন (Quetta Station)। বিস্ফোরণের কালো ধোঁয়া আবছা হতেই দেখা যায় কাছে-দূরে পড়ে রয়েছে অনেকগুলো রক্তাক্ত দেহ। বেশ কয়েকটি দেহ ছিটকে পড়েছে কিছুটা দূরে। কেউ কাতরাচ্ছেন যন্ত্রণায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী। নেমে পড়ে উদ্ধারের কাজে।

আরও পড়ুন- হিমাচলে শিঙাড়া গায়েব মুখ্যমন্ত্রীর, তদন্তে সিআইডি

কোয়েটার এসএসপি মহম্মদ বালোচ জানালেন, বম্ব-স্কোয়াডের বিশেষজ্ঞরা বুঝতে চেষ্টা করছেন, কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। বালুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ বললেন, ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হচ্ছে। চলতি মাসে এই নিয়ে এটি দ্বিতীয় বিস্ফোরণ। মাসের শুরুতেই মাসতাং এলাকায় এক ভয়ঙ্কর মোটরসাইকেল বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থল ছিল বালুচিস্তান প্রদেশের মাসতাং এলাকা। সেই বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ৫ স্কুলপড়ুয়া-সহ মোট ৭ জনের দেহ। মোটরসাইকেলে রাখা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল রিমোট কন্ট্রোলে। কয়েকদিনের মধ্যেই আবার বালুচিস্তানেই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১৪ জন সেনা-সহ অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি।

Latest article