প্রতিবেদন: পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল গেরুয়া প্রশাসনের ব্যর্থতা আর অপদার্থতাকে। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, ইচ্ছা করেই কি মণিপুরে অশান্তির আগুন জিইয়ে রাখছে কেন্দ্র আর রাজ্য? তবে এটা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট, নেপথ্যে আসলে বিজেপির কোনও অশুভ রাজনৈতিক খেলা। হাতেনাতে তার প্রমাণ মিলল আবার। সোমবার মনিপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইতে নিহত হল ১১ জঙ্গি। সকলেই কুকি সম্প্রদায়ের বলে জানা গিয়েছে। সঙ্ঘর্ষের সূত্রপাত সোমবার বেলা আড়াইটে নাগাদ। বড়বেকরা মহকুমা সদর থানায় প্রথমে হামলা চালায় জঙ্গিরা। বেশকিছু ঘরবাড়ি এবং দোকানপাটেও হামলা চালায় তারা। সঙ্গে লুটপাট। কাছেপিঠে কোথাও দেখা যায়নি পুলিশকে।
আরও পড়ুন-পর্বতারোহীদের নিরাপত্তায় বিশেষ সতর্কতা জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের
এরপরেই জাকুরাডোর করংয়ের রাস্তায় সিআরপিএফের মুখোমুখি হয় জঙ্গিরা। অভিযোগ, জওয়ানদের লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গুলি চালালে পালটা গুলি চালায় বাহিনী। শুরু হয় গুলির লড়াই। একে একে খতম হয় ১১ জন জঙ্গি। জিরিবামে থানায় হামলা চালানো জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম হন এক সেনা জওয়ানও। তবে এক্ষেত্রে রক্ষা করা গিয়েছে স্থানীয় শরণার্থী শিবিরটি। তবে কুকি গোষ্ঠীর জঙ্গিদের নিহত হওয়ার ঘটনায় অশান্ত জিরিবামের বোরোকেবরা এলাকায় আদৌ অশান্তি থামবে না আরও বাড়বে, তা এখনও অস্পষ্ট।
লক্ষণীয়, কয়েকদিন ধরেই জিরিবামের বোরোকেবরা এলাকার মানুষ মেইতি ও কুকি গোষ্ঠীর জঙ্গিদের মধ্যে হানাহানির শিকার। মেইতি হামলায় হোমার সম্প্রদায়ের এক স্কুলশিক্ষিকার মর্মান্তিক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিস্ক্রিয়তার। সোমবার ফের বোরোকেবরা এলাকায় হামলা চালায় কুকি গোষ্ঠীর জঙ্গিরা। সঙ্ঘর্ষ বাধে মেইতি জঙ্গিদের সঙ্গে। তবে পুলিশ বা সিআরপিএফ সময়মতো পদক্ষেপ নিলে এদিনের ঘটনা এতদূর গড়াতো না বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। সোমবার রাজ্যের অন্যান্য জায়গা থেকেও দফায় দফায় খবর এসেছে সঙ্ঘর্ষের।