দুলাল সিংহ, বালুরঘাট: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকানে ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে বাড়ল ছাড়। ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে ছাড় ৬০.৭৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ৮৫ শতাংশ। ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে ছাড়ের নিরিখে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হাসপাতাল উঠে এল রাজ্যে তৃতীয় স্থানে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট সদর এবং গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে দুটি নায্যমূল্যের ওষুধের দোকান চালু হয় ২০১২ সালের শেষ দিকে। সাধারণ ও জীবনদায়ী সব ধরনের জেনেরিক নামের ওষুধগুলি পাওয়া যেত ৬০.৭৫ শতাংশ ছাড়ে।
আরও পড়ুন-মনীষীদের মূর্তি ভাঙার চেষ্টা ব্যবস্থা নিল শিলিগুড়ি পুরনিগম
পাশাপাশি, সেখানে মেডিক্যাল বা চিকিৎসা সামগ্রীও মেলে একই টাকার অঙ্ক ছাড় দিয়ে। ধীরে ধীরে সেই ওষুধের দোকানটি ভরসা হয়েছে দাঁড়িয়েছে হাসপাতালে ভর্তি রোগী থেকে শুরু করে এলাকার মানুষের। সরকারি তালিকাভূক্ত অন্তত ৮০ ভাগ ওষুধ পাওয়া যায় সেখানে। প্রতিদিন সরকারি ওই নায্যমূল্যের দোকান দুটিতে গড়ে তিন শতাধিক মানুষ ওষুধ ক্রয় করেন। তবে বালুরঘাট হাসপাতালে থাকা সরকারি নায্যমূল্যের ওষুধের দোকানে ছাড় ৬০.৭৫ থেকে ৮৫ শতাংশ হল। স্বাভাবিকভাবেই নির্ধারিত মূল্য থেকে মাত্র ১৫ শতাংশ অর্থ ব্যয়ে ওষুধ ক্রয় করে উপকৃত ক্রেতারা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হাসপাতালের সরকারি নায্য মূল্যের ওষুধ দোকান কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, ১০ বছর পর নয়া একটি এজেন্সি বরাত পেয়েছে ওষুধ বিক্রয়ে। এরপরেই এই দোকানের সমস্ত ওষুধের ওপর ছাড় ৬০.৭৫ থেকে বাড়িয়ে ৮৫ শতাংস দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস জানান, রাজ্য সরকারের চালু করা নায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের সুফল পাচ্ছেন মানুষ।