প্রতিবেদন : চন্দননগরের মুকুটে নতুন পালক ‘পুঁথিঘর’। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে এবং চন্দননগর পুরনিগমের সহযোগিতায় স্থানীয় রবীন্দ্রভবন সংলগ্ন চত্বরে গড়ে উঠেছে চন্দননগর পুঁথিঘর। শুক্রবার পুঁথিঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী তথা চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন। এ-ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল-সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, চন্দননগরের এই পুঁথিঘর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফল। চন্দননগরের মেয়র এই পুঁথিঘর পুনর্গঠনের প্রস্তাব নিয়ে মন্ত্রীর কাছে এসেছিলেন। মন্ত্রী সেই প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর সামনে রাখেন। প্রস্তাব পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এই কাজের উদ্যোগ নেন। এখানে চন্দননগরের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত বিরল ও গুরুত্বপূর্ণ বইগুলি সংরক্ষণ করা হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে পুঁথিঘরটির আধুনিকীকরণও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-২০’র নিচে নামল পারদ
নতুন রূপে সেজে উঠা চন্দননগর পুঁথিঘর শুধু একটি বইয়ের সংগ্রহশালাই নয়, এটি শহরের ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক জীবন্ত প্রতীক। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন আরও বলেন, ভবিষ্যতে এই সংগ্রহশালাকে আরও সমৃদ্ধ ও বড় করে তোলার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। এই উদ্যোগ চন্দননগরের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক মূল্যবান সম্পদ হিসেবে কাজ করবে।