ট্রাম্পে গভীর আস্থা জেলেনস্কির, দ্রুত থামবে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ

হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি গভীর আস্থা প্রকাশ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি।

Must read

প্রতিবেদন: হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি গভীর আস্থা প্রকাশ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর স্থির বিশ্বাস, কথা রাখবেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নিয়েই তিনি ইতি ঘটাবেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। তাঁর কথায়, আমি নিশ্চিত, এবার যিনি হোয়াইট হাউসকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন, তাঁর নীতি মেনে দ্রুত শেষ হবে যুদ্ধ। শনিবার ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম সাসপিলনেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এভাবে গভীর আস্থা প্রকাশ করেছেন হবু মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত্যু বর-কনে-সহ ৭ জনের

লক্ষণীয়, ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পরেই জেগেছিল আশার আলো। মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই টেসলা কর্তা ইলন মাস্কের মধ্যস্থতায় জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপ ট্রাম্পের। কথাবার্তা হয় প্রায় আধঘন্টা ধরে। ট্রাম্পের কথা শুনে সেদিনই জেলেনস্কির মনে হয়েছিল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে সত্যিই আন্তরিক ট্রাম্প। সেই আলোচনারই প্রসঙ্গ টেনে শনিবার টেনে আনেন জেলেনস্কি। তাঁর কথায়, গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। এমন কোনও কথা আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্টের মুখে শোনা যায়নি, যা আমাদের ঘোষিত অবস্থানের পরিপন্থী। যুদ্ধ থামানোর জন্য ট্রাম্পের ইতিবাচক পদক্ষেপ আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে এর কয়েকদিনের মধ্যেই। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোনে ইউক্রেন-যুদ্ধ অবিলম্বে থামানোর কথা বলেন। আরও স্পষ্ট করে বললে, প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন ট্রাম্প। আমেরিকার সামরিক শক্তির কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দেন, ইউক্রেন-যুদ্ধ না থামালে দুঃখ আছে পুতিনের কপালে। তারপরেই শনিবার জেলেনস্কির এই প্রতিক্রিয়া।

আরও পড়ুন-ছত্তিশগড়ে খতম ৫ মাওবাদী

লক্ষণীয়, নির্বাচনের আগেই ফিলাডেলফিয়ায় মুখোমুখি বিতর্কে ট্রাম্প কথা দিয়েছিলেন যে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে থামিয়ে দেবেন রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। তিনি জিতেছেন। কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যে যুদ্ধ থামেনি। থামানো সম্ভবও নয়। কারণ সরকারিভাবে তিনি এখনও শপথ নেননি। তারজন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও প্রায় দু’মাস। কিন্তু জেতার সঙ্গে সঙ্গেই যুদ্ধ থামানোর উদ্যোগ দেখিয়ে নিঃসন্দেহে ট্রাম্প আশার আলো জাগিয়েছেন রাশিয়া এবং ইউক্রেনের শান্তিকামী মানুষের মনে।

Latest article