ন্যাচারোপ্যাথি এক সুপ্রাচীন প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে শরীরকে সুস্থ রাখা ও রোগ নিরাময়ের জন্য প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর নির্ভরের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস, সঠিক জীবনধারণ, যোগব্যায়াম, ধ্যান ও বিভিন্ন থেরাপির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর মূল লক্ষ্য হল শরীরকে রোগের আক্রমণ থেকে মুক্ত রাখা।
অতীতে সুস্থতার জন্য মানুষ ন্যাচারোপ্যাথির ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসাক্ষেত্রে ঘটেছে বিপ্লব যার ফলে একটা সময় ন্যাচারোপ্যাথির প্রতি মানুষের আগ্রহ এবং চর্চা কমে গিয়েছিল। কিন্তু প্রকৃতিকে পুরোপুরি এড়িয়ে গিয়ে কি সুস্থ জীবন লাভ সম্ভব? তাই বর্তমানে মানুষ এই সত্য উপলব্ধি করেছে নতুন করে এবং বিগত শতাব্দীর সূচনা লগ্ন থেকে ন্যাচারোপ্যাথি বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থা হিসেবে পুনরায় ক্রমশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কোর কমিটির বৈঠকে অনুব্রত
প্রয়োজনীয়তা
শরীর থাকলে রোগ হবে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি। এই ক্ষেত্রে ন্যাচারোপ্যাথি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস, যোগব্যায়াম, ধ্যান শরীরকে সুস্থ রাখে। নিয়মানুবর্তী জীবনযাত্রা, পর্যাপ্ত ঘুম শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে। মানসিক চাপ, উদ্বেগ দূরে রাখে। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে যে ভেষজ ঔষধ প্রয়োগ করা হয় তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম এবং ফল সুদূরপ্রসারী। তাই বর্তমানে ন্যাচারোপ্যাথির প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে।
ন্যাচারোপ্যাথি ও আধুনিক চিকিৎসা
আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার দর্শন হল রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা করা, আর ন্যাচারোপথির উদ্দেশ্য হল রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলা। ন্যাচারোপ্যাথিতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে, আধুনিক চিকিৎসায় রাসায়নিক ঔষধ, ড্রাগস, সার্জারি-সহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। ন্যাচারোপ্যাথির চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় দ্রুত রোগমুক্তি ঘটে।
ন্যাচারোপ্যাথির পদ্ধতি
ন্যাচারোপ্যাথিতে রোগের মূল কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা করে। এই পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হল পূর্ব প্রস্তুতি। এর জন্য বেশকিছু পদ্ধতি রয়েছে। যেমন সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ভেষজ ঔষধ, হাইড্রোথেরাপি, ডিটক্সিফিকেশন, যোগব্যায়াম, ধ্যান, সঠিক জীবনধারণ প্রভৃতি।
ডায়েটথেরাপি
আমাদের অসুস্থতার একটি প্রধান কারণ হল অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস যা শরীরের পুষ্টির অন্তরায়। শরীরকে সুস্থ রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের প্রয়োজন। আমাদের সুষম আহার করতে হবে অর্থাৎ রোজকার খাবারে কার্বহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেল, জল থাকবে। টাটকা শাকশবজি, দানাশস্য, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, টাটকা ফল খাওয়া দরকার। রান্না-করা খাবারের ক্ষেত্রে বেশি তেল-মশলা বর্জন করতে হবে। প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার জল পান করা উচিত।
হার্বাল মেডিসিন
যখন আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল না তখন মানুষ ভেষজ ঔষধের ওপর নির্ভরশীল ছিল। বিভিন্ন গাছের পাতা, শেকড়, বীজ থেকে তৈরি তেল বা রস বা ওষুধ তারা খেত। যেমন সর্দিকাশিতে তুলসী, বাসক, মরিচ; হজমের জন্য আদা, পুদিনা, আমলকী; কফ ও জীবাণুনাশক হিসেবে মধু; ত্বকের সমস্যা ও কোলেস্টেরল কমাতে অ্যালোভেরা; শরীরের হরমোন নিয়ন্ত্রণ ও মানসিক চাপ কমাতে অশ্বগন্ধা ব্যবহৃত হয়। এরকম অসংখ্য ভেষজ উপাদান রয়েছে। কিছু কিছু পাতা কিংবা তার রস নিয়মিত সেবনে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কোর কমিটির বৈঠকে অনুব্রত
হাইড্রোথেরাপি
হাইড্রোথেরাপি একটি অতি-প্রাচীন রোগ নিরাময় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে রোগ সারাতে জলের ব্যবহার হয়। ঠান্ডা জলে স্নান শরীরকে সতেজ রাখে, শরীরের প্রদাহ কমায়, রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। গরম জলে স্নান পেশির ক্লান্তি দূর করে। গরম জলের বাষ্প গ্রহণ করলে সাইনাস রোগ দূর হয়। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। ব্যথা কমাতে অদলবদল করে ঠান্ডা ও গরম জলের সেঁক দেওয়া হয়। ঠান্ডা জলে পা ডুবিয়ে রাখলে মানসিক প্রশান্তি আসে।
মাডথেরাপি
এটি একটি অতি-প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি। কাদার মধ্যে এমন কিছু খনিজ থাকে যা শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। মাড-থেরাপি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, আর্থারাইটিসের প্রদাহ কমায়। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করে, শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
ফাস্টিং থেরাপি
শরীর সুস্থ রাখতে যেমন সঠিক খাদ্যাভ্যাস দরকার তেমনি অনেক সময় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খাওয়া বন্ধও রাখতে হয়, যাকে বলা হয় ফাস্টিং থেরাপি। শরীর শোধনের জন্য এই থেরাপির প্রয়োজন। এর মাধ্যমে শরীরের বর্জ্য পদার্থ বাইরে বেরিয়ে যায়। ওজন কমানো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধি প্রভৃতিতে এই থেরাপি অত্যন্ত কার্যকরী।
আরও পড়ুন-জঙ্গলমহলের নতুন আকর্ষণ সবুজে মোড়া সাদা পাহাড়
ফিজিওথেরাপি
ফিজিওথেরাপি এমন এক চিকিৎসা পদ্ধতি যা শারীরিক ব্যথা, আঘাত, দুর্বলতা প্রভৃতি দূর করতে সাহায্য করে। পেশি, হাড়, স্নায়ুর সমস্যা সমাধানে ফিজিওথেরাপি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এটি শারীরিক কর্মক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই থেরাপির মধ্যে রয়েছে ম্যাসাজ, ইলেকট্রোথেরাপি, হিট অ্যান্ড কোল্ড থেরাপি, হাইড্রোথেরাপি প্রভৃতি।
লাফিং থেরাপি
হাসলে শরীরে এন্ডরফিন হরমোন নিঃসৃত হয় যা মনমেজাজ ভাল রাখে ও মানসিক চাপ, উদ্বেগ দূর করে। হাসি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রক্তচাপ কমায়, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। সবথেকে বড় কথা, হাসিমুখ সামাজিক সম্পর্কের মেলবন্ধন দৃঢ় করে।
ক্রোমোথেরাপি
এটি একটি অতি-প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থা। এই চিকিৎসায় রং ব্যবহার করে নানারকম রোগ নিরাময় করা হয়। রামধনুর সাত রঙের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ও কম্পন মানবদেহে নির্দিষ্টভাবে প্রয়োগ করলে শারীরিক ও মানসিক অনেক ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়। আড়াই হাজার বছর আগে পিথাগোরাস এই তত্ত্বের ধারণা দিয়েছিলেন। আধুনিক ক্রোমোথেরাপি তার তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে এগিয়েছে।
ডিটক্সিফিকেশন
এই পদ্ধতিতে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বাইরে বের করে দেওয়া হয়। মাংস, চিনি, অ্যালকোহলের অতিরিক্ত সেবন, মানসিক চাপ, পরিবেশগত দূষণ প্রভৃতি কারণে শরীরে টক্সিক পদার্থ জমা হয় যা শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করে ও মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত জলপান, হার্বাল-টি, তাজা শাক-সবজি গ্রহণ, নিয়মিত শরীরিক কসরত, ধ্যান, উপবাস প্রভৃতি শরীর থেকে টক্সিক পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। ডিটক্সিফিকেশন শরীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
যোগব্যায়াম ও ধ্যান
বিভিন্ন আসন, প্রাণায়াম, ধ্যান প্রভৃতি। যোগাসন পেশির নমনীয়তা বৃদ্ধি করে, জয়েন্ট পেন কমায়, শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রাণায়াম যেমন অনুলোম-বিলোম, কপালভাতি শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করে, মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। পিঠ, ঘাড়, কোমর, হাত-পায়ের গাঁটের যন্ত্রণা এখন প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। বর্তমানে চিকিৎসকেরা এইসব ক্ষেত্রে রোগীদের যোগব্যায়ামের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে ধ্যান একটি অতি প্রাচীন অনুশীলন। প্রাচীন কালে ঋষি, মুনি, দেবতা, অসুর থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও ধ্যান করত সাধনায় সিদ্ধিলাভ করার জন্য। নিয়মিত ধ্যান মনকে শান্ত রাখে, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ দূর করে। মনঃসংযোগ বৃদ্ধি করে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত ধ্যান অনুশীলন জরুরি।
আরও পড়ুন-১৫ ডিসেম্বর থেকে ক্যাম্প ডায়মন্ড হারবারের ৭ কেন্দ্রে, অভিষেকের উদ্যোগে ‘হেলথ ফর অল’
জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন
সুস্থ শরীরের জন্য সঠিক জীবনধারণ অবশ্যই প্রয়োজন। বর্তমানে মানুষের অসুস্থতার একটি প্রধান কারণ হল অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল। এর জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস, যোগব্যায়াম, শরীরচর্চা যেমন প্রয়োজন তার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার। ঘুমের নির্দিষ্ট সময় ও পর্যাপ্ত ঘুম, ধূমপান, অ্যালকোহল, নেশার দ্রব্য বর্জন করা দরকার। সামাজিক জীবনধারাও এর একটি অঙ্গ। আমাদের লাইফস্টাইল যদি ঠিক হয় তাহলে শরীর ও মন দুটোই সুস্থ থাকে।
ন্যাচারোপ্যাথির প্রতি আগ্রহ
বর্তমানে মানুষ খুব স্বাস্থ্য সচেতন। রাসায়নিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা তাঁরা জানেন। অন্যদিকে, ন্যাচারোপ্যাথি ঝুঁকিহীন। এখানে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। মানুষ সুস্থ ও সঠিক জীবনধারায় অভ্যস্ত হয়। সরকারি স্তরেও এই পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার কথা প্রচার করা হচ্ছে এবং এর প্রসারে নানান উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই কারণে ন্যাচারোপ্যাথির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
জাতীয় ন্যাচারোপ্যাথি দিবস
ন্যাচারোপ্যাথির প্রসার ঘটাতে এবং মানুষকে এই ব্যাপারে সচেতন করতে ভারত সরকারের আয়ুষ মন্ত্রক ১৮ নভেম্বর দিনটিকে জাতীয় ন্যাচারোপ্যাথি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। ১৯৪৫ সালের ১৮ নভেম্বর মহাত্মা গান্ধী নেচার কেয়ার ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের আজীবনের সদস্য হয়েছিলেন। মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আয়ুষ মন্ত্রক ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর দিনটি প্রথম জাতীয় ন্যাচারোপ্যাথি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
এই দিনটি উদযাপনের প্রধান উদ্দেশ্য হল প্রাকৃতিক চিকিৎসা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য যে পদ্ধতি অনুসরণ করা দরকার সে-বিষয়ে তাদের ওয়াকিবহাল করা, পাশাপাশি এই নিয়ে সরকারি স্তরে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং নতুন নতুন গবেষণা হচ্ছে সেসব সম্পর্কেও জনগণকে অবহিত করা। এর জন্য প্রতিবছর সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। প্রতিনিয়ত চলছে সেই কর্মসূচি।
ভবিষ্যৎ
যেভাবে মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা দিনদিন বাড়ছে সেক্ষেত্রে আশা করা যায় ন্যাচারোপ্যাথির ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। সরকারি স্তরে ন্যাচারোপ্যাথি নিয়ে যদি প্রচার, প্রসার বৃদ্ধি পায় তাহলে ন্যাচারোপ্যাথির ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। বাস্তবিকই সরকারি স্তরে যেভাবে এর প্রসার হচ্ছে তাতে আগামী দিনে ন্যাচারোপ্যাথির গ্রহণযোগ্যতা মানুষের কাছে অনেক বেশি হবে।
সীমাবদ্ধতা
ন্যাচারোপ্যাথি দিনে দিনে প্রসারলাভ করছে ঠিকই তবে এর কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। এই নিয়ে ব্যাপক গবেষণার ব্যবস্থা নেই। ফলে অনেকে এর প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারেন না। এই চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ। আজকাল মানুষের ধৈর্যের বড় অভাব। ফলে এই পদ্ধতির ওপর ভরসা রাখতে পারেন না। সীমাবদ্ধ চিকিৎসা, সেভাবে চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে না ওঠায় এই পদ্ধতিতে মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া সহজসাধ্য নয়। কিছু কিছু ভেষজ ঔষধ অত্যন্ত দামিও হয়। বর্তমানে শরীর সুস্থ রাখার জন্য যেসব ন্যাচারোপ্যাথি সেন্টার গড়ে উঠেছে সেখানে পরিষেবা অনেক সময় সাধারণের সাধ্যের বাইরে হয়।
তবে আশার কথা এই যে, ন্যাচারোপ্যাথি নিয়ে গবেষণা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি স্তরেও এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ন্যাচারোপ্যাথি নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ গড়ে উঠছে যেখানে এই বিষয়ে পাঠদানের পাশাপাশি চিকিৎসা-পরিষেবা পাওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। তাই আশা করা যায় আগামী সময়ে ন্যাচারোপ্যাথি মানুষের সুস্থ জীবন লাভে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।