প্রতিবেদন : পুরোপুরি দায়িত্বভার নেওয়ার পরে দেশে সেনা মোতায়েন করে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে চান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এনিয়ে ঘোষণা করেছেন তিনি। এমনকী এই কাজ করতে প্রয়োজনে দেশে জরুরি অবস্থাও জারি করতে পারেন বলে জানান ট্রাম্প। সেইসঙ্গে নবজাতকদের আমেরিকার নাগরিকত্ব দিতেও আসছে নতুন আইন।
আরও পড়ুন-কোর্টে খারিজ সাসপেনশন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ৫ পড়ুয়াও ক্লাস করবেন
চলতি সপ্তাহেই আমেরিকার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট বিভাগের প্রধান টম হোমান দেখা করবেন ট্রাম্পের সঙ্গে। সেখানেই নির্ধারিত হবে বেআইনি অনুপ্রেবশকারীদের দেশ থেকে তাড়াতে কী পদপেক্ষ নিতে চলেছে আমেরিকার নবনির্বাচিত সরকার। আমেরিকাকে সর্বশ্রেষ্ঠ করার স্বপ্ন দেখিয়ে এবং বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে তাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্বিতীয়বার চমকে দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য প্রয়োজনে দেশে জরুরি অবস্থা জারির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। জরুরি অবস্থা জারি করতে পারলে দেশে সেনা নামানো সম্ভব হবে।
নির্বাচনী প্রচারের সময়ই ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট বিভাগকে সামরিক দফতরের সাহায্য নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার সেই পন্থা তিনি নিজেই নেবেন। ট্রাম্পের আগের জমানায় দেশ থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ বেআইনি অনুপ্রবেশকারীকে দেশ থেকে তাড়ানো হয়েছিল। বাইডেন সরকার তাড়িয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ অনুপ্রবেশকারীকে। তবে রাজনীতিক মহলের অনুমান, সেনা দিয়ে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী তাড়ানোর কাজ করলে তা আমেরিকার ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিতাড়ন হবে।
পাশাপাশি শুধু বেআইনি অনুপ্রবেশকারী নয়, দেশের নাগরিকত্ব নিয়ন্ত্রণে নিয়মের বদল আনবে ট্রাম্প প্রশাসন। এখন থেকে কোনও শিশুকে মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে বাবা-মায়ের মধ্যে একজনকে আমেরিকার নাগরিক হতে হবে। সেইসঙ্গে বার্থ টুরিজম প্রথাও তুলে দিতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন।