প্রতিবেদন : রাজধানীর অভূতপূর্ব ভয়াবহ দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবারে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছে দিল্লির আপ সরকার। কিন্তু তার জন্য চাই কেন্দ্রের অনুমতি। সেই অনুমতিই মেলেনি এখনও। অনুমতি দেওয়া তো দূরের কথা, দিল্লির বায়ুদূষণকে মেডিক্যাল এমার্জেন্সি হিসাবে দিল্লি সরকার ঘোষণা করলেও আশ্চর্যজনকভাবে এব্যাপারে কোনও সাড়াশব্দই নেই মোদি সরকারের। দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার অনুরোধ জানানোর পরেও কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অদ্ভুত নীরবতা দেখে বিস্মিত দিল্লির মানুষ। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই অবশ্য ইতিমধ্যেই পরামর্শ নিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা জানিয়েছেন ঘন কুয়াশা এবং কুয়াশা থেকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে বৃষ্টি। তবে নভেম্বরে যেহেতু স্বাভাবিক বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, তাই ভরসা বলতে কৃত্রিম বৃষ্টিই। এদিকে ঘন কুয়াশার জেরে মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ বাইক আরোহী। ৩৪ নং জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা দুটি ঘটেছে বুলন্দশহর এবং বদাউনে। এদিন সকালে বিভিন্ন জায়গায় দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন অন্তত ২০ জন গাড়ির আরোহী।
আরও পড়ুন-বন্ধ করা হল না রেলগেট, ঝাড়খণ্ডে চলন্ত ট্রেনে ধাক্কা মেরে চুরমার ট্রাক
লক্ষণীয়, কিছুদিন আগেই এইরকম কৃত্রিম বৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছিল দিল্লির উপকণ্ঠে একটি আবাসন। স্বাভাবিকভাবেই তা ছিল খুবই ছোটমাত্রায়। কিন্তু সেই উদ্যোগ আদৌ কতটা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়েছিল তা নিয়ে নিশ্চিতভাবে বলতে পারেনি কেউই। তবে আপ সরকারের উদ্যোগটা অবশ্যই অনেকটা বড়মাপের এবং বিজ্ঞানসম্মত বলে দাবি করা হয়েছে। লক্ষ্য, কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়ে দূষণ ধুয়ে ফেলা।
রাজধানীর উদ্বেগ আরও বেড়েছে মঙ্গলবার। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, এদিন রাজধানীর দূষণের মাত্রা উঠেছে ৪৯৪ একিউআই। বেশ কিছু এলাকায় অবশ্য দূষণের মাত্রা ছুঁয়েছে ৫০০। জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম, মুনকা, নর্থ ক্যাম্পাস, ওয়াজিরপুরের পরিস্থিতি সত্যিই বেশ বিপজ্জনক।