”রাজ্যের মানুষের হাত পুড়বে, সেটা আমি বরদাস্ত করব না”: মুখ্যমন্ত্রী

আজ, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকেই বাংলায় আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

Must read

আজ, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকেই বাংলায় আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, “বাংলায় আলুর দাম বাড়িয়ে অন্য জায়গা থেকে মুনাফা লুটবে, আর আমি চাষিদের জন্য ইনসিওরেন্সের ব্যবস্থা করব, দুটো জিনিস একসঙ্গে চলতে পারে না। এই জিনিস আমি বরদাস্ত করব না।” এদিন সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে সুফল বাংলার স্টল আরও বাড়ানোর কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন-রাজ্যজুড়ে প্রতিটি ব্লকে শিল্প সমাধান শিবির, ঘোষণা নবান্নের

এদিনৈর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, প্রদীপ মজুমদার ও বেচারাম মান্না। মার্কেটিং এবং অ্যাগ্রো মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট ছিল ওঙ্কার মিনার হাতে। এদিন অ্যাগ্রো মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব বেচারাম মান্নার হাতে তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতি সপ্তাহের স্টক মিলিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়া রাজ্যে আলু ও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে জট তাড়াতাড়ি সম্ভব টাস্ক ফোর্সের মিটিং ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত সীমান্ত সিল করার নির্দেশ দেন তিনি।

আরও পড়ুন-গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলার ঘটনায় বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

এদিন তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি তো বাংলা থেকে আলু ছাড়ছিলামও। কিন্তু কী বলেছিলাম? বাংলার প্রয়োজন মিটিয়ে বিক্রি করুন, আমার তাতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কী দেখলাম? বাংলায় আলুর দাম বাড়িয়ে ভিন রাজ্যে আলু পাঠিয়ে বাড়তি মুনাফা লুটার চেষ্টা! এটা তো বরদাস্ত করব না।”

আরও পড়ুন-মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরার কড়া নজরদারিতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ”আলু উৎপাদনে আমরা স্বনির্ভরশীল। তবু আমাদের রাজ্যের মানুষকে কেন বাড়তি দাম দিয়ে আলু কিনে খেতে হবে? আমি তো বলেছিলাম, তোমাদের আলু যদি অতিরিক্ত হয়ে যায় আইসিডিএস, মিড ডে মিলে নিয়ে নেব। তারপরও কীভাবে বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলে বাইরে আলু পাঠানোর সাহস হয়? এখনই পদক্ষেপ করুন। আমাদের নিজেদের খাওয়ার পেঁয়াজ জোটে না। সেজন্য পেঁয়াজ চাষে জোর দিয়েছি। জমি উর্বর করা থেকে সার, এমনকী ইনসিওরেন্সের ব্যবস্থা করার পরও উৎপাদিত পেঁয়াজের ৫০ শতাংশ বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছে। সাহায্য করব আমরা আর কিনতে গিয়ে রাজ্যের মানুষের হাত পুড়বে, সেটা আমি বরদাস্ত করব না।”

রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”তুমি হয়তো চেষ্টার কসুর রাখছো না। কিন্ত সরি টু সে, নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের অনেকে ঘুষ খেয়ে সীমান্ত দিয়ে আলু প্রয়োজনের তুলনায় বাইরে পাঠাতে সাহায্য করছে।”

 

Latest article