প্রতিবেদন : ট্যাবের (Tab) টাকা জালিয়াতির তদন্তে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত। প্রতিদিনই গ্রেফতার হচ্ছে একের পর এক অভিযুক্ত। বুধবার আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সেই সঙ্গে ট্যাব-কাণ্ডে মিলল বিহার-যোগ। বর্ধমান পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। তাকে জেরা করে এই রহস্যের অনেকটাই হদিশ মিলবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ধৃতের নাম রবিন সিং। বাড়ি বিহারে। যদিও তাকে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ট্যাবের টাকা চুরি-কাণ্ডে এই প্রথম ভিন রাজ্যের বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হল। প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যাঙ্কের জালিয়াতির বিষয়টি সে দেখত। এ-নিয়ে বর্ধমান পুলিশের হাতে মোট ৫ জন গ্রেফতার হল। এর পাশাপাশি, বুধবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানা এলাকা থেকে মহম্মদ বাহাউদ্দিন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করল বনগাঁ থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই যুবকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বনগাঁর একটি স্কুলের পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা ঢুকেছিল। ওই স্কুল থেকে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের তদন্তে নেমে বনগাঁ থানার পুলিশ ইসলামপুর থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। হেফাজতে নিয়ে ওই যুবককে জেরা করে এই জালিয়াতির সঙ্গে আরও কারা যুক্ত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এর পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের বাড়ি চোপড়ায়। উমর ফারুক নামে ওই ব্যক্তিকে উত্তর দিনাজপুরের আসারু বস্তি এলাকার দক্ষিণ আমতলা থেকে বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ও পুলিশ যৌথ অপারেশন চালিয়ে গ্রেফতার করে। এদিন তাকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়। ঝাড়গ্রামে ট্যাব (Tab) জালিয়াতরা স্কুলে হানা দিয়েছিল পুজোর ছুটির আগেই। প্রতি স্কুলে একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ লিস্ট তৈরি হয়ে যায় পুজোর আগেই। সেই সময় ফাইনাল চেক করতে গিয়ে বেশ কিছু স্কুল লক্ষ্য করে তাদের ছাত্রছাত্রী বাদেও বেশ কিছু অতিরিক্ত নাম লিস্টে রয়েছে। কিন্তু তাদের আইএফএসসি কোড এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর আলাদা। এরপর সব নথি চেক করে বাদ দেওয়া হয়।