সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম : হামলা চালিয়ে সরকারি আধিকারিককে নিগ্রহ করে বিজেপির গুন্ডারা। পুলিশ অপরাধীদের ধরলে প্রতিবাদে বন্ধ ডেকে নিজেদের আরও হাস্যাস্পদ করে তুলল। আর তাদের নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকায় ডাকা বারো ঘণ্টার বন্ধে কোনও প্রভাব পড়ল না। অন্য স্বাভাবিক দিনের মতোই স্কুল ও সরকারি দফতর ছিল খোলা। চলল যানবাহন। অধিকাংশ দোকানপাটও ছিল খোলা। তবে রতনপুর ও হরিপুরে কয়েক জায়গায় সকালে বিজেপির গুন্ডাবাহিনী গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ-সহ অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে। চণ্ডীগ্রামে রাজ্য সড়কে ইট-কাঠ ফেলে যান-চলাচলে বাধা দেয়। টেঙ্গুয়া-সহ দু-একটি জায়গায় পথ অবরোধ করে। নন্দীগ্রাম থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন : কেমন আছো দেশ আমার?
নন্দীগ্রামের কৃষি আধিকারিক বিদ্যুৎবরণ মণ্ডলকে স্মারকলিপি দেওয়ার নামে বেধড়ক মারধর করে বিজেপির গুন্ডারা। সেই ঘটনায় বিজেপি নেতা ও হরিপুর ৫ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মেঘনাদ পাল, উপপ্রধান আশিস ভুঁইয়া-সহ সাতজনকে শুক্রবার গ্রেফতার করে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। তাদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে বন্ধ ডেকেছিল বিজেপি। শনিবার পুলিশ ধৃতদের হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলে। বিচারক মেঘনাদ ও আশিসকে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। বাকি পাঁচজনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত। নন্দীগ্রামের মানুষ বিজেপির বন্ধকে সমর্থন না করে, ভেকুটিয়াতে অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় দলে দলে যোগ দেন। শহিদমাতা বিধায়ক ফিরোজা বিবি এবং নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বদেশ দাসের এই সভায় ব্যাপক জনসমাগম হয়। মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের সংগ্রামী মানুষ বন্ধে সাড়া দেননি।’’