দক্ষিণ ভারতের (South India) প্রচেষ্টা বিফলে। এবার অসাধ্য সাধন করে দেখাল এনআরএস (NRS) হাসপাতাল। প্রৌঢ়কে নতুন জীবনদান করে এনআরএস-এর বক্ষ বিভাগ নয়া রেকর্ড গড়ল। পরিবার সূত্রে খবর, এক প্রৌঢ়ের ফুসফুসে ভাঙা দাঁত আটকে গিয়েছিল। ব্রঙ্কোস্কোপি করে অবশেষে দাঁত বের করল হাসপাতাল। পঞ্চাশ বছরের ওই প্রৌঢ় বীরভূমের নানুরের বাসিন্দা। ২০১৯ সালে তাঁর দাঁত ভেঙে ঢুকে যায় ফুসফুসে। ২০২৩ সালে আবার একই ঘটনা ঘটে। ভাঙা দাঁত অসাবধানতাবসত ফুসফুসে গিয়ে আটকে যায়। শ্বাসনালী যেখান থেকে ভাগ হচ্ছে সেখানে ডান এবং বাঁ দিকের ব্রঙ্কাসে দু’টি দাঁত থাবা বসায়। এর ফলে প্রচন্ড কাশি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয় প্রৌঢ়ের।
আরও পড়ুন-আমরা ছাত্রদল
দ্রুত চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ ভারতের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে যান ওই প্রৌঢ়। তবে কোনভাবেই ফুসফুস থেকে সেই দাঁত বের করা সম্ভব হয়নি। শনিবার এনআরএসে ওই প্রৌঢ়কে আনা হয়। চিকিৎসকরা প্রৌঢ়ের শারীরিক পরীক্ষা করে ব্রঙ্কোস্কোপি করে দাঁত অবশেষে বের করে আনতে সক্ষম হন। চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়, পাঁচ বছর আগে একটা দাঁত ফুসফুসে চলে যায়। এক বছর আগে আরোও একটা দাঁত খুলে ফুসফুসের অন্য দিকে চলে যায়। এই অবস্থায় তিনি দক্ষিণ ভারতের একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল যান। সেখানে কোন হাসপাতাল এই ঝুঁকি নিতে রাজি না হওয়ায় অবশেষে এনআরএস এর দ্বারস্থ হন তিনি। দেখা যায় ফুসফুসে দাঁত দুটো বসে আছে। শ্বাসকষ্ট এতটাই হচ্ছে যে ফুসফুস বন্ধ হলে তিনি মারা যাবেন। এরপরেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে অজ্ঞান করে ব্রঙ্কোসকপি করে বের করা হয়েছে সেই মারণ দাঁত।