সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : রবিবার ভৈরবের বিসর্জন ঘিরে উন্মাদনার চেনা ছবি বহরমপুরে। ৮ থেকে ৮০ সকলেই অংশ নিলেন শোভাযাত্রায়। রবিবার ছুটির দিন দুপুরে বহরমপুরে ঐতিহ্যবাহী ভৈরবতলার বড় ভৈরবের শোভাযাত্রা বের হয়। ঢাকের তালে ও ডিজের তাঁকে শোভাযাত্রা যেন জনজোয়ারে রূপ পায়। রাস্তার ধারে হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় করেন ভৈরব দর্শনে। শহর পরিক্রমা করে সন্ধ্যায় ভাগীরথীর ঘাটে বিসর্জন হবে ভৈরবে। তারপর আবার এক বছরের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন-মোদীরাজ্যে কিশোরকে যৌন নিগ্রহ করে খুন পরিবারের
ভৈরবের শোভাযাত্রায় শামিল হতে পেরে খুশি ছোট থেকে বড় সকলেই। খাগড়ার প্রায় ১৫০ বছরের প্রাচীন ভৈরব। ভৈরবের নাম থেকে এলাকার নামও ভৈরবতলা। জনশ্রুতি, এই ভৈরবের পুজোর আদি স্থান এখানে নয়। অন্য কোনও স্থানে নলখাগড়ার বনেই ছিল আরাধনা ক্ষেত্র। সেই বন কোনও কারণবশত পুড়ে যাওয়ার পরেতৎকালীন স্থানীয় বাসিন্দারা এইখানে ভৈরবের পুজো শুরু করেন। ভক্তরা মানেন এখানকার ভৈরব বাবা অত্যন্ত জাগ্রত। শুদ্ধ চিত্তে কেউ তাঁর থেকে কিছু চাইলে তিনি তার মনস্কামনা অবশ্যই পূরণ করেন। ২২ ফুটের মূর্তিকে সাজানো হয় সোনা-রুপোর অলংকারে। এবার ভৈরবতলার বড় ভৈরবের ১৫০তম বর্ষ। তাতে রয়েছে বাড়তি উন্মাদনা। শোভাযাত্রা ঘিরে ছিল পুলিশি প্রহরাও।