প্রতিবেদন : নির্বোধের মতো নিজেই নিজের মূর্তি উন্মোচন করেছেন! তিনি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অবশ্য যে দল তাঁকে রাজ্যপাল করে বাংলায় পাঠিয়েছে, সেই দলের সর্বোচ্চ নেতাও জীবিত অবস্থায় নিজের নামে ক্রিকেট স্টেডিয়াম বানিয়েছেন। তাই এ-ধরনের নির্বুদ্ধিতা তাঁদের নতুন কিছু নয়। তবে শনিবার রাজ্যপাল বোসের এই কীর্তিতে সর্বত্র হাসির রোল উঠতেই চাপে পড়ে সাফাই দিতে ময়দানে নামল রাজভবন। শনিবার রাজ্যপাল হিসেবে দু-বছর পূর্তিতে রাজভবনে নিজের আবক্ষমূর্তি উন্মোচন করেছেন বোস। কিন্তু এবার রাজভবনের দাবি, ওই মূর্তি নাকি রাজ্যপালকে দেওয়া এক ভাস্করের উপহার! এক্স হ্যান্ডেলে রাজভবন মিডিয়া সেলের তরফে বলা হয়েছে, অনেক শিল্পী তাঁদের শিল্পকর্ম মাননীয় রাজ্যপালকে উপহার দেন। অনেক চিত্রশিল্পী মাননীয় রাজ্যপালের প্রতিকৃতি তাঁকে উপহার দিয়েছেন। অনুরূপভাবে এক সৃষ্টিশীল ভাস্কর মাননীয় রাজ্যপালের একটি মূর্তি তৈরি করে উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ঘটনাকে ‘নিজের মূর্তি উন্মোচন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বলাগড়ের নিখোঁজ শিশুর দেহ মিলল শৌচালয় থেকে
একথা সত্যি যে, পার্থ সাহা নামে ভারতীয় জাদুঘরের এক ভাস্কর এক সপ্তাহ ধরে রাজ্যপালের এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন। কিন্তু ফাইবারের তৈরি এই মূর্তিটি রাজ্যপালের নির্দেশে তৈরি করা হয়েছে, নাকি তাঁর অজান্তেই তাঁকে উপহার দেওয়ার জন্য মূর্তিটি বানানো হয়েছে, তা নিশ্চিত নয়। তবে রাজ্যপাল নিজেই সেই মূর্তির উন্মোচন করায় বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কোনও জীবিত মানুষ কীভাবে নিজের মূর্তি উন্মোচন করতে পারেন? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তারপরই চাপে পড়ে সাফাই দিতে হয়েছে রাজ্যপালকে। এই নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, রাজভবনে রাজ্যপালের মূর্তি, হাস্যকর ব্যাপার! অন্য রাজ্যপালেরাও তো আসবেন। রাজ্যপাল পদটির একটা সম্মান আছে, মর্যাদা আছে। এখন রাজ্যপাল নিজেই নিজের মূর্তি বানিয়ে সেই পদটার মর্যাদা-হানিকর ব্যাপার হয়েছে বুঝে বলছেন, কেউ একজন স্মারক দিয়েছিল। উনি নাকি সেটা শুধু খুলে দেখেছিলেন