প্রতিবেদন : কুৎসা, অপপ্রচার, মিথ্যাচারকে পদদলিত করে বাংলার মাটিতে ফের উড়েছে তৃণমূলের বিজয় নিশান। উপনির্বাচনে তৃণমূল ৬-এ ছয়। বিরোধীরা ডাহা ফেল। যাবতীয় অপপ্রচারের মোক্ষম জবাব দিয়েছে বাংলার আমজনতা। রাতদখল থেকে দ্রোহ কার্নিভাল-সহ সব চক্রান্ত উড়িয়ে বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর তাঁদের আস্থা অটুট। বিজেপিকে বাংলার মাটিতে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাম-কংগ্রেস জামানত হারিয়ে অস্তিত্বের লড়াই করছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে একের পর এক জয় হাসিল করে চলেছে। জয়ের পর সে-কথাই উঠে এল প্রার্থীদের গলায়।
জয়প্রকাশ টপ্পো (মাদারিহাট) : এবার মাদারিহাটের মানুষের ঋণ শোধের পালা। তাঁদের কাছে ভোট নয়, দেড়টা বছর ধার চেয়েছিলাম। আমাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসেবে মানুষ সেই ঋণ মঞ্জুর করেছেন। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সেই ঋণ আমি উন্নয়নের মধ্য দিয়ে শোধ করব।
সঙ্গীতা রায় (সিতাই) : বিজেপির মিথ্যাচারের জবাব দিয়েছে মানুষ। বাংলায় তাদের ধুয়ে-মুছে সাফ করে দিয়েছে। এই ফলাফলে প্রমাণিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর মানুষের ভরসা অটুট। সিতাইয়ে একটি দমকল কেন্দ্র প্রয়োজন। বিধায়ক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই আবেদন জানাব। দেড় বিঘা জমিও চিহ্নিত হয়েছে।
আরও পড়ুন-সোমবার কর্মসমিতির বৈঠক হবে কালীঘাটে
সনৎ দে (নৈহাটি) : কুৎসা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মা-মাটি-মানুষের পক্ষে এই রায়। যাঁরা দ্রোহের আন্দোলন, রাতদখল করে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছিল বাংলাকে, তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী নিজের বুথে হেরেছেন। শিরদাঁড়া বাঁকা বলে নৈহাটির মানুষকে অপমান করেছিল, তার জবাব পেয়েছে বিজেপি।
রবিউল ইসলাম (হাড়োয়া) : আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে যেভাবে বিজেপি ও সিপিএম কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছে তৃণমূল সরকারকে, তা বাংলার মানুষ মেনে নিতে পারেনি। তারই জবাব মানুষ দিয়েছে ভোটবাক্সে। তৃণমূলকে ভোট দিয়ে মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাংলার মা-মাটি-মানুষের উপরই তাঁদের ভরসা।
সুজয় হাজরা (মেদিনীপুর) : আরজি করের ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ লাগিয়েছিল বিরোধীরা। কিন্তু মানুষ তাঁদের পক্ষে রায় দেয়নি। মেদিনীপুরের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছেন। আমরা প্রতিশ্রুতি পালন করব। মেদিনীপুর শহরকে যানজটমুক্ত করতে হবে প্রথমে। গ্রামাঞ্চলেও কাজ করতে হবে।
ফাল্গুনি সিংহবাবু (তালডাংরা) : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ওপর বাংলার মানুষের অগাধ বিশ্বাস। সেজন্যই এই বিপুল জয়। প্রচারের সময় যখন মানুষের কাছে গিয়েছিলাম, তখন তাঁদের সমস্যার কথা শুনেছিলাম। এখন ৩৬৫ দিনই তাঁদের পাশে থাকব। মানুষের সমস্যা সমাধানে একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে। যতটা সম্ভব করব।