প্রতিবেদন : ২০২৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দিতে হবে। শুধু পাইপলাইন পৌঁছলেই হবে না। ওই সময়ের মধ্যে যাতে প্রতিটি পরিবার পরিশুদ্ধ পানীয় জল (water supply) পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। মঙ্গলবার রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এবিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া প্রশাসনের দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে। সেখানে কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। একইসঙ্গে তাঁর সাফ কথা, রাজ্যের কোথাও জল সরবরাহের কাজে কেউ বাধা দিলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। পাইপলাইন চুরি-সহ পাইপ কেটে বাড়িতে রিজার্ভারে জল টেনে নেওয়ার মতো অভিযোগে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যে জল জীবন মিশন প্রকল্পের অগ্রগতি বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, প্রকল্পের কাজে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। বৈঠকে পিএইচই-র কর্তাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাড়ি বাড়ি পানীয় জল (water supply) পৌঁছতে প্রশাসন দায়বদ্ধ। পাইপ যাওয়া মানেই জল সরবরাহ নয়। যেসব বাড়িতে জলের পাইপলাইন গিয়েছে সেখানে সত্যি জল পড়ছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কানেকশনগুলি রি-চেক করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যসচিব কেন নিয়মিত কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে বলেন। তাঁর কথায়, রাজ্য সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে জল পৌঁছে দিচ্ছে গ্রামে। আর বিজেপি বলছে ওরা করছে। ওরা শুধু জুমলা করে। কাজ করে না। ২০২৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ১ কোটি ৭৭ লক্ষ বাড়িতে জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার কথা। ইতিমধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যজুড়ে সেই কাজও চলছে। পিএইচই-র দাবি, ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ বাড়িতে সংযোগ পৌঁছে গিয়েছে। যদিও তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশ : ইসকনের প্রতিবাদ