কর্নাটকের (Karnataka) রামনগর জেলা হাসপাতালে শৌচালয়ের কমোডে সদ্যোজাতকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। শিশুটির বয়স আনুমানিক এক বা দু’দিন। এদিন হাসপাতালের (Hospital) শৌচালয় ব্যবহার করতে গিয়ে দেখা যায়, কমোডে জল জমে আছে। শৌচকর্মীরা সমস্যার সমাধান করতে উদ্যত হলেই উদ্ধার হয় এক সদ্যোজাতের দেহ। অথচ শিশু নিখোঁজ হওয়া নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কোনরকম অভিযোগ আসেনি। পুলিশে খবর দেওয়া হলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে শিশুটির মা এই ঘটনায় জড়িত।
আরও পড়ুন-বিজেপি রাজ্যে সরকার পরিচালিত অ্যাম্বুল্যান্সে নাবালিকাকে গণধর্ষণ
হাসপাতালের এক তলার শৌচালয়ের কমোডের পাইপ থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে কমোডে জল আটকে যায়। অভিযোগ পেয়ে শৌচকর্মীরা পাইপ থেকে ময়লা টেনে বার করার যন্ত্র চালু করতে দেহ ভেসে ওঠে। থানায় খবর দেওয়া হয় হাসপাতালের তরফে। পুলিশ এসে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। বুধবার রাতেই শিশুটিকে কমোডে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। হাসপাতালে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের কাছেও শিশুর নিখোঁজ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ আসেনি। তদন্তকারীদের মতে শিশুটিকে তাঁর মা স্বেচ্ছায় কমোডে ফেলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন-আজমির শরিফ নিয়ে আদালতে মামলা, নোটিস কেন্দ্রের কাছে
প্রসঙ্গত, ৬ই নভেম্বর বেঙ্গালুরুতে একটি বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে এক মাসের শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ তদন্তের পর জানায় শিশুটিকে তার মা খুন করে তারই দাদুর বাড়ির জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়েছেন।